নারকেলের কেন এত দাম

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৬ মার্চ, ২০২১ at ৫:১০ পূর্বাহ্ণ

বাজারে বাড়ছে শুকনো নারকেলের দাম। সাইজভেদে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি করছে একেকটি নারকেল। খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, যোগান কমে যাওয়ার কারণে নারকেলের দাম বাড়ছে। খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাইয়ের আড়তগুলোতে প্রতিমাসে প্রায় ৩ লাখ পিস নারকেল বেচাকেনা হয় বলে জানা গেছে।
বাঙালি সমাজের মানুষেরা রসনা বিলাসী। ফল হিসেবে নারকেলের যেমন চাহিদা রয়েছে, তেমনি মসলা হিসেবেও জনপ্রিয় নারকেল। আচার অনুষ্ঠানে ভারী খাবার তৈরিতে বিশেষ করে মাংস রান্নায় নারকেল ব্যবহার করা হয়। আবার সনাতন ধর্মালম্বীরা নিয়মিত পুজোর উপকরণ হিসেবে নারকেল ব্যবহার করে থাকেন। তাছাড়া শিরনি, ফিরনী, হালুয়াসহ নানান রসালো নাস্তা তৈরিতেও ব্যবহৃত হয় নারকেল। এসবক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় পরিপূর্ণ বয়স্ক নারকেলের। স্থানীয় ভাষায় যাকে ‘ঝুনা নারকেল’ বলে। স্বাভাবিকভাবে সারাবছরই নারকেলের চাহিদা থাকে। তবে শীতকালে নারকেলের যোাগান কমে যায়। ফলে বছরের এই সময়ে নারকেলের দাম বাড়ে।
খাতুনগঞ্জের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে নারকেলের দাম বাড়ার কারণ। আফজাল আহমদ নামের আড়তদার বলেন, এখন মানুষ নারিকেল ঝুনা হতে দেয় না। ডাব থাকতেই বিক্রি করে দেয়। এতে ঝুনা কিংবা শুকনো নারকেলের যোগান কমে যাচ্ছে। গত একমাস ধরে পাইকারিতেও দাম বেড়েছে। প্রতি পিস নারকেল আকারভেদে ৮০-১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরে নারকেল ব্যবসায়ের সাথে জড়িত বাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, শীতকালে এমনিতে নারকেল কম ঝুনা হয়। এতে গাছ থেকে নারকেল কম নামানো হয়। কিন্তু বাজারে কাটতি রয়েছে। যে কারণে নারকেলের দাম বাড়ছে। তিনি বলেন, প্রতিমাসে খাতুনগঞ্জে কমবেশি ৫০ ট্রাক নারকেল আসে। প্রতি ট্রাকে ৫-৬ হাজার নারকেল থাকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে বেড়েছে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ, বন্ধ বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু
পরবর্তী নিবন্ধগরমকালে যেসব কারণে বাড়তে পারে সংক্রমণ