নাটকের শিল্পীত চেতনায় জীবন সত্য প্রকাশে প্রত্যয়ী

অভীক ওসমান | মঙ্গলবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ

‘নাটকের শিল্পীত চেতনায় জীবন সত্য প্রকাশে প্রত্যয়ী আমরা।’ এই থিম শ্লোগানের প্রত্যয়ী দল গত ১৭ সেপ্টেম্বর ৪৬ বছর পূর্তি উদযাপন করলো। দলপতি অধ্যাপক ম. সাইফুল আলম চৌধুরী অনাড়ম্বর উদযাপনের কথা বললেও দিনব্যাপী সরব ও স্বতঃস্পূর্ত অনুষ্ঠান হলো। স্মরণ করা হলো প্রয়াত সতীর্থ মৃণাল সরকার, মোহাম্মদ ইসলাম, রণজিৎ রক্ষিত, শান্তনু বিশ্বাস, স্বপন দাশ সাথী, সুকল্যাণ দেব মিহির, অভিজিৎ দাশগুপ্ত, সবুজ বড়ুয়া, মোরশেদা মান্নান চৌধুরী মুনমুন।
সূচনায় দুপুরে নবীন প্রবীণ নাট্যজন, ও গনায়ন সুহৃদদের নিয়ে ‘নাট্যালাপ’ একটা পর্ব ছিলো। সঞ্চালনায় ছিলেন নাট্যজন অসীম দাস। নাটকের নবীন পণ্ডিত বিশ্ব নাট্য ইতিহাস মিলিয়ে ভালোই সঞ্চালন করলেন।
অনতিতরুণদের আলোচনায় যেটা উঠে এসেছে এটা ভার্চুয়াল যুগের বিস্মকর। তারা বলছেন তারা রাজ্জাক কবরীর সিনেমা, যাত্রা দেখে মঞ্চে এসেছে। সিনেমায় মা-বাবা কষ্ট দেয়া, অন্যায় ইত্যাদি তাদের মন ছুঁয়েছে। এসব থেকে প্রসেনিয়ামের দিকে ধাবিত হয়েছে। একজন বললেন রাজা হরিশচন্দ্র যাত্রা করে সে পপুলার হয়ে যায়-যার ফলে গনায়ন-এ যোগ দিয়েছে। এ ধরনের বালকসুলভ ধ্রুপদ চিন্তা ইতিবাচক পর্যবেক্ষণ। আমাদের দেশে ৩৩ নৃগোষ্ঠী আছে। এর মধ্যে ১৩টি বৃহত্তর চট্টগ্রামের। এরা পলিটিক্যাল-কালচারাল প্রফেশানালি বেশ এগিয়ে। এক চাকমা বালিকা বললো-লর্ড বুদ্ধের নাটকে অভিনয় করে তাকে নাটকের নেশায় পেয়েছে। এই বালিকা নৃত্য লোক সংগীতে উদ্বুদ্ধ হয়ে নাটক করছেন। উল্লেখ্য মধ্য আশিতে আমাদের চট্টগ্রাম কলেজের মেধাবী ছাত্র এস.এম. সোলায়মান বাংলাদেশের নাটকে সংগীতও স্যাট্যায়ার নিয়ে এসেছিলেন। (মৎ রচিত-প্রয়াত ৫ ও ইবসেন) সোলায়মান আমার প্রথম নাটক ‘তিরোহিত সুন্দর আমার’ এর নির্দেশক ছিলেন। গনায়নও এই ধারা অব্যাহত রেখেছে।
শুভ্রা বিশ্বাস বলেন, “গৃহী আমি, আট বছর কোন নাটক করিনি। হঠাৎ একদিন গণায়ন’র সাইফুল ও কুন্তল বাসায় গিয়ে বললো। নাটক করতে হবে। বেহাল অবস্থায় শান্তনুকে জিজ্ঞেস করলাম। শান্তনুর স্মার্ট উত্তর “অবশ্যই করবে’ বাচ্চা কাচ্চা ঘরদোর আমি সামলাবো।” সতীর্থ ও বন্ধু শান্তনু বিশ্বাসের প্রতি ভালোবাসা জানাচ্ছি। সাহিদউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ঢাকা থিয়েটার যে ‘চর কাঁকড়ার ডকুমেন্টারি’ প্রথম পথ নাটক করেছেন। তার প্রতিবাদ করে গনায়নই যে ‘যায়দিন ফাগুনো দিন’ করেছে, তার প্রতিবাদ করে এসেছি।
দুলাল দাশগুপ্ত বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কালচারাল ফ্রন্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার বরীন্দ্রনাথের ‘চির কুমার সভা’ বিপ্লব গাঁথা’র কথা উল্লেখ করেন। এই সময় কবি ও নাট্যকর্মী সেলিনা শেলী স্টেজে ও রাজপথে সক্রিয় ছিলেন। শেলী একজন ভালো অভিনেত্রী হতে পারতেন। কামালউদ্দিন নীলু তখন ক্যাম্পাসের নটরাজ। ফাইন আর্টসের উপবিভাগ নাট্যকলার শিক্ষক।
তৃতীয় পর্বে অতিথি বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ নাট্য ফেডারেশন প্রেসিডিয়াম সদস্য মোছলেম উদ্দিন শিকদার। চট্টগ্রাম গ্রুপ থিয়েটার ফোরাম সভাপতি খালেদ হেলাল, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু। তারা সবাই পথ নাটক, শোষিতের পক্ষে গণায়নের ইতিহাসের কথা বলেন। ফেডারেশন ও ফোরামে গণায়নের এ্যাকটিড পার্টিসিপেশেনের কথা উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে গত শতাব্দীর আশির দশকে আবুল ফজলের ‘সাহিত্য নিকেতন’ বাসায় গঠিত নাট্য সমন্বয় পরিষদে, কামরুল ইসলাম, আলী আনোয়ার মোল্লা, মাহবুব হাসান, সালমা চৌধুরীর সাথে গণায়ন থেকে অভীক ওসমান ও প্রদীপ খাস্তগীর উপস্থিত ছিলেন। তখন আমি অনার্স সেকেণ্ড ইয়ারের ছাত্র।
গণায়ন প্রবীন সদস্য অধ্যাপক দেবব্রত দেওয়ানজি স্বৈরশাসনে প্রতিকূল রাজনৈতিক অবস্থার মাঝে নাটক করা একটা মুশকিলের ব্যাপার ছিল। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ছাত্র মনোতোষ ধর স্মৃতিচারণ করে বলেন-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অরুণ-গীতার বিয়ে করিয়ে দেওয়া একটা ব্যাপার ছিল। তাছাড়া তাবেদার মন্ত্রী হিসেবে সালাম করতে গিয়ে ঘাড়ে ব্যাথা হয়ে গিয়েছিল। মনে পড়ে হাজারী লেনের স্বপন আচার্যের বাড়ি, মন্দির, চটঘেরা খোলা মাঠ, কুয়োতলা স্বপন-তপনের দাদা, বৌদি-মা’র সহায়তা না পেলে একটি বিপ্লবী নাট্যদল গড়ে উঠতো না। নারী অভিনেত্রী সংকটের যুগে শুক্লাদির কথা মনে পড়ে। সেদিন আমাদের জন্য সারপ্রাইজ ছিল নুরুজাহান চাকলাদার ইলা। প্রায় দুই কুড়ি বছর পর দেখা। ৮০’র দশকে জিন্স কটি পরা নুরজাহান ২০২১ এসে বললেন-ইউনির্ভাসিটি থেকে ফিরে পথে কোক বনরুটি খেয়ে গণায়নের রির্হারসেলে। তাকে সমাজ হুমকী দিয়েছিল। থিয়েটার করা মেয়ে-বিয়ে হবে না। গ্রামীণ ব্যাংকের সফল অফিসার রিটায়ার্ড করেছেন। এই মুর্হূতে স্মরণ করছি। তিরোহিত সুন্দর আমার (১৯৭৬) এর নায়িকা জামাল খান বসবাসকারী ইলা মুৎসুদ্দিকীকে। বিয়ের পর সে আগুনে পুড়ে মারা যায় (১৯৮১)। ছড়াকার আ. ফ. ম মোদাচ্ছের আলী (অবশেষে জেনারেল খ্যাত) ১৯৮১ সালের একটি ব্রুসিয়ার উপহার দেন। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেওয়ান মাকসুদ আহমদ ১৭ সেপ্টেম্বর গণায়নের জন্মদিন, ১৭ সেপ্টেম্বর ৬২’র শিক্ষা আন্দোলনের দিন বলে মহীয়ান করে তোলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রগতিশীল সংস্কৃতি চর্চা, সংগীত প্রীতি ও নাট্যান্দোলনের প্রশংসার কথা বলেন।
শেষ পর্বে রাতফেরার (১৯৭৮) থেকে পাঠ করেন আবু তাহের, যীশু দাশ। ‘দ্য ডেথ অব সেলসম্যান’ অবলম্বনে ম. সাইফুল আলম চৌধুরী রচিত ‘এই ঘর এই বসতি’ থেকে শুভ্রা বিশ্বাস, মোকাদ্দেম মোরশেদ, বাপ্পা চৌধুরী পাঠ করেন। ‘একাত্তর আমার একাত্তর’ থেকে পাঠ করেন ফাল্গুনী দাশ, ননাবী চাকমা। ‘কমরেডস হাত নামান’ থেকে তৌহিদ হাসান ইকবাল, অনির্বান ভট্টাচার্য, নাটকের গানে অংশ নেন-ধর্মরাজ তশ্চইঙ্গা, অসীম দাশ, বাপ্পা চৌধুরী, আ.ক.ম হুমায়ুন, মায়েশা, লাপরী চাই, রায়হান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন : রফিকুজ্জামান, সুইনো মার্মা।
গণায়ন এপর্যন্ত ৩৩টি নাটকের চট্টগ্রাম, ঢাকা, কোলকাতায় ১৮০০ প্রদর্শনী করেছে। ‘থিয়েটারওয়ালা’ পত্রিকা ‘শেষ সংলাপ’ নাটক ৫০ শীর্ষ নাটককে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
গণায়নের লোগো করেছিলেন শিবনাথ শুরুতে গণায়ন নামে পত্রিকা বের করতো। ২৫ বছর পূর্তিতে বের হয় অভীক ওসমানের নাট্যত্রয়ী, ৪০ বছরে ‘এই ঘর এই বসতি।’ একমাত্র গণায়নই অভিনয়-গীতিকার নির্দেশক নাট্যকার এরকম অলরাউন্ড পাওয়া যাচ্ছে মিলন চৌধুরী শান্তনু বিশ্বাস, অসীম দাশ বাপ্পা চৌধুরী। গণায়ন থেকে নাট্যকার শিক্ষক হয়েছেন কুন্তল বড়ুয়া, অসীম দাশ, মামুনুল হক, অতিথি শিক্ষক ম. সাইফুল আলম চৌধুরী, অভীক ওসমান। গণায়ন থেকে নাট্যজনরা বিস্তৃত হয়েছে, রূপক, অঙ্গন, কালপুরুষ, ফেইম, কথা সুন্দর।
অভীক ওসমান তার বক্তব্যে বলেন ৪৬ বছর একটা দীর্ঘ জীবন। শিশুনাতনী নিয়ে স্টেজে উঠে তিনি বলেন – আমি থ্রি জেনারেশন গণায়নের। ‘রাত ফেরার’ আমি লিখি ও.আর নিজাম রোডস্থ এখনকার একমাত্র ধনাঢ্য ব্যক্তি গোলাম কুদ্দুস-এর মামা গোলাম করিরের বাসায়। একরাতে প্রণব দাশ সম্পাদনা করেন। ড. মাহফুজ পারভেজ বলছেন, ‘নীল দর্পণ এর পর বাংলা সাহিত্যে সেন্সরকৃত দ্বিতীয় নাটক রাত ফেরার।’ মুসলিম হল থেকে পুলিশ ‘গফুর আমিনা সংবাদ’ এর টিকেট নিয়ে যায়। কিডন্যাপিং সমাচার প্রদর্শনের সময় পুলিশী হামলা হয়। ১৯৮৮ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় শহীদ মিনারে ‘অবশেষে জেনারেল’ দেশের প্রথম পথ নাটক উৎসবে মঞ্চস্থ হয়। বিচিত্রার কাভার ষ্টোরি হয়। সৈয়দ শামসুল হক এর সম্পাদিত “স্বপ্ন ও সংগ্রাম”, বাংলাদেশ পথ নাটক পরিষদ। এটা রিপ্রিন্ট করেছে।
স্বল্পপ্রজ নাট্যকার হলেও গণায়ন আমাকে এসব নাটকের জন্য ইতিহাসের অংশীদার করে তুলেছে। কমিমেন্ট টু দ্য পিপল আমার সারা জীবনের তপস্যা।
গণায়ন প্রয়োজিত ‘গফুর আমিনা সংবাদ” আমার জীবনকে দৃঢ় ভিত্তি দিয়েছে। মহেশ তখন সামন্ত সমাজের দাস হিসেবে মারখেয়ে পুঁজিবাদী পাটকলের শ্রমিক হিসেবে হেরে যায়। তখন মঞ্চে লাল আলোর ঝলকানিতে কোরাসের জিজ্ঞাসা ও উত্তর, ‘করায় পথ একটাই। লড়াই! লড়াই।’ এই লড়াই অভীক ওসমানের জীবন। খন্দকার মুশতাক, জিয়ার স্বৈরশাসনের প্রেক্ষপটে রচিত ‘রাত ফেরার’এর একটা সংলাপ কোট করছি :
‘সুনসান রাত। সাপের খোলসের মত পড়ে আছে পথ, অসুস্থতার চাদরে মুমূর্ষু রাজপথ। তার উপরে দর্পিত পদভারে ছুটছে মাতাল ঘোড়া তড়াক তড়াক। চাবুক পড়ছে পিঠে সপাং সপাং, তীক্ষ্ণ ক্ষুরের আঘাতে ভাঙছে জানালার মসৃণ কাঁচ, দালান, মানুষের ভালবাসার বসতি। এই অস্থির তাড়নায় আমরা ছুটছি-ছুটবো-এপথে ও পথে, এঘরে ওঘরে।’
১৭ সেপ্টেম্বর দলপতি ইশতেহার ঘোষণা করেন ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ নিরন্তর চর্চা নিখিল বাংলাদেশে নাট্যকর্মিদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অসাম্প্রদায়িক, অর্থনৈতিক সমতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণ সম্ভব। ৪৭ এ পা দিয়েছি। ৫০’এ সুবর্ণ জয়ন্তী। সম্মুখে সুন্দর আগামীকাল।
২. বিষাদের গল্প
১৭ সেপ্টেম্বর গণায়নের বর্ষপূর্তি শেষ হল। পাশে শিল্পকলা একাডেমির মূল হল রুমে নামল বিষাদের সন্ধ্যা। খালিদ আহসান আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থের ‘বিষাদের জার্নালে’র এর প্রচ্ছদকার ও মুদ্রক। রাজশাহি থেকে প্রকাশিত এ্যালবাম এ আমি লিখেছিলাম। ‘আহ আলজিভ স্পর্শ করো’ শীর্ষক বন্দনা। অগ্রজ হয়েও অনুজ খালিদ আহসান ছিল আমার স্রষ্টা, দ্রষ্টা, স্বাপ্নিক। খালিদ যে নেই, ছবি হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে আমি আর কোনদিন লিখব না, আমার আর কোন বই বের হবে না। শক্তির ‘হে প্রনম্য অগ্নি”। তুমি নেই।
আমি যখন চট্টগ্রাম কলেজে পড়ি। স্টুডেন্ট লিডার হিসেবে শ্বাশ্বতী বড়ুয়া, রুমী বড়ুয়া আমার অনুরোধে গান গাইতে আসতো। ফুলকি এলাকার বার্মা ট্রেডিংয়ের মানবেন্দ্র বড়ুয়ার সাথে আমার যোগাযোগ ছিল। রনি বড়ুয়া চারুকলা কলেজে ছাত্র ও প্রাক্তন সম্মিলনের নেতা। বড় পরিচয় সোলস এর মানুষ। আমার মতো নগন্য মানুষকে হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানাতেন। এই সুদর্শন মানুষকে পার্থিব জগতে আর দেখব না।
আবদুস সালাম আদু চট্টগ্রাম কলেজে আমার জুনিয়র ছিলো। বিখ্যাত জাকির হোসেন কনট্রাকটারের ছেলে। কলেজে, চকবাজারে, শিল্পকলায় যখন যেখানে দেখা হয়েছে। মাথা নত করে সম্মান জানিয়েছে। ভালো মানুষগুলো কী আগে যায়। এই শোক আমরা রাখব কোথায়।
৩. প্রসেনিয়ামের সারারাত্তির
অতিমারীর আতংক অন্ধকার পেরিয়ে ‘প্রসেনিয়াম’-এর প্রথম প্রোডাক্‌শন বাদল সরকারের ‘সারারাত্তির’ দেখলাম। চট্টগ্রামের স্টেজে আনডাউডেটলি সাহসী প্রযোজনা। মনে হয়েছে, থার্ড থিয়েটারের বাদল সরকার রবীন্দ্রনাথকে স্মরণে রেখেছেন। রক্তকরবীতেও একজন রঞ্জনের কাঙ্খা ছিল। কখনও জীবনানন্দের নিঃসঙ্গতাবোধ জেগেছে। সুপার ন্যাচারাল বা সুরিয়্যালিস্টিক থিম ‘সারারাত্তির’। মার্কসিস্ট, পলিটিকেল থিয়েটারের জনক, থার্ড থিয়েটারের জনক খ্যাত বাদল সরকার ফ্রান্সে বসে ‘এবং ইন্দ্রিজিৎ’, ‘পাগল ঘোড়া’ দুটো নাটক লিখেছেন।
পাপ-পূন্যবোধের ট্যাবু ভেঙেছে। প্রতীক বেশ ভালো পারফর্ম করেছে। যদিও বা দীপঙ্কর দস্তিদার তার অভিনয়ের মধ্যে দুর্বলতা খুঁজে পেয়েছেন। মিশফাক স্বতঃস্ফূর্ত। কবি ফারহানা আনন্দময়ী মোহনীয়। আলম খোরশেদ লিখেছেন পঞ্চাশ পর্যায়ে আনন্দময়ী স্টেমিনা ধরে রাখতে পেরেছেন। তবে ভয়েস ভবিষতে নাটকের সাথে যাবে কি সন্দেহ। ৫ ী ৭ = ৩৫। ‘আফটার থার্টি ফাইভ, ওয়াচ ইউর ওয়াইফ।’ সিমুনড ফ্রয়েড কী বলে বাদল সরকার কী এই ইংরেজি প্রোভার্ব মনে রেখেছিলেন। আমাদের গণায়নের সতীর্থ মোকাদ্দেম মোরশেদের নির্দেশনার জন্য প্রাউড ফিল করছি। মিউজিক ও বালিকাদের কোরিওগ্রাফি চমৎকার। মাঝে মাঝে পার্ফমেন্সকে মেলোড্রামা মনে হয়েছে। আর সবকিছু চমৎকার। অভিনন্দন
প্রসেনিয়াম। জয় হোক নাটকের।

লেখক : নাট্যকার. উন্নয়ন ও অর্থনীতি গবেষক, অতিথি শিক্ষক, নাট্যকলা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখেলাপিদের দখলে কয়েক হাজার একর জায়গা
পরবর্তী নিবন্ধজামায়াতের শাহজাহান শামসুলসহ ৯৪ জনের বিচার শুরু