দ্রব্যমূল্য কমায় জনগণ স্বস্তিতে অস্বস্তি বেড়েছে বিএনপির

রাঙ্গুনিয়ায় তথ্যমন্ত্রী ।। এখন বিএনপি আছে শুধু টেলিভিশনের পর্দায়

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ৩০ মার্চ, ২০২২ at ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছেন। এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড মানে পাঁচ কোটি মানুষ। এতে বাজারে পণ্য-দ্রব্যের দাম কমে গেছে। দ্রব্যমূল্য কমায় জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। জনগণের মধ্যে যখন স্বস্তি ফিরে এসেছে, তখন বিএনপির অস্বস্তি বেড়ে গেছে। তারা সেজন্য বাম-ভাইদেরকে দিয়ে হরতাল ডাকালেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য সারাদেশে সম্মেলন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব বেরিয়ে আসছে। এতে আগামী নির্বাচনে আমরা আবারো ২০০৮ এর মতো ধস নামানো বিজয় নিশ্চিত করব। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এসব কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার আসলাম খাঁন প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনার কারণে এবং ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কিছু কিছু পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়, তখন বিএনপি সারাদেশে নানা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। এক্ষেত্রে তারা দ্বিচারিতা নীতি অবলম্বন করেছে। একদিকে মজুদদার ও অসাধু ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিয়েছে পণ্য মজুদ করার জন্য এবং পণ্যের মূল্য বাড়ানোর জন্য, অন্যদিকে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য কর্মসূচি দিয়েছে। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিএনপি সারাদেশে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। বিএনপির কাজটাই হচ্ছে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো। আপনারা দেখেছেন যখন পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয় তখন বিএনপি বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। ছেলেধরা গুজব ছড়িয়েছিল। এই পদ্মাসেতু করতে পারবে না বলে তারা নানা ধরনের বিভ্রান্ত ছড়িয়েছিল। আজকে পদ্মাসেতু হয়ে গেছে, উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
তিনি বলেন, পৃথিবীর ১৩০টি দেশ যখন করোনার টিকা দেয়া শুরু করতে পারেনি, তখন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা টিকা দেয়া শুরু করল। করোনার প্রথম, ২য় এবং ৩য় ঢেউ তিনি যেভাবে মোকাবেলা করেছেন এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘসহ পৃথিবীর নেতৃবৃন্দ প্রশংসা করছেন। কিন্তু বিএনপি প্রশংসা না করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। তারা এই টিকা না নেওয়ার জন্য মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পরে নিজেরাই গোপনে টিকা নিয়েছে। লজ্জা শরম ভেঙে কেউ কেউ জনসম্মুখেও টিকা নিয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে প্রকৃতপক্ষে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। বিএনপি আছে শুধু টেলিভিশনের পর্দায়। টেলিভিশনের সাংবাদিকরাই মূলত বিএনপিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। বিএনপিকে টেলিভিশন ছাড়া কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। মাঝেমধ্যে দুয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সমাবেশে আবার নিজেরা নিজেরা মারামারি করে।
তিনি বলেন, তারা বাম-ভাইদের দিয়ে হরতাল ডাকালো। হরতাল ডেকে জাফর উল্লাহ সাহেব নিজে স্বপরিবারে লন্ডন চলে গেলেন। আর বাম ভাইদের হরতালের সময় গতকাল ঢাকা শহরে ট্রাফিক জ্যাম ছিল। বাম ভাইদের আমি সম্মান করি, কারণ তারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। কিন্তু তারা কেনো হরতাল করে জনগণের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি করলেন সেটিই আমার প্রশ্ন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিয়ে বাড়ি থেকে ফিরেই দেখেন স্বর্ণালংকার ও মোবাইল নেই!
পরবর্তী নিবন্ধধুলোবালির অসহনীয় যন্ত্রণা