টেকনাফে প্রতিপক্ষের হামলায় ভুট্টো বাহিনীর প্রধান নুরুল হক ভুট্টো নিহত হয়েছেন। সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি কোপায়, ডান পা বিচ্ছিন্ন করে দেয়। গতকাল রোববার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে টেকনাফ-সাবরাং সড়কের মৌলভী পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, একটি সালিসি বৈঠক শেষে পার্শ্ববর্তী সাবরাং ইউনিয়ন থেকে ফিরছিলেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার এনামুল হকসহ সহযোগীরা। মৌলভী পাড়া এলাকায় পৌঁছার সাথে সাথে প্রতিপক্ষ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়ার মোহাম্মদ একরাম গংরা মোটরসাইকেল আটকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে ইউপি সদস্য এনামুল হক পালিয়ে বাঁচলেও তার জেঠাত ভাই নুরুল হক ভুট্টোর ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। এ সময় আব্দুল শুক্কুরসহ বেশ কয়েকজন দায়ের কোপে আহত হন। গুরুতর আহত ভুট্টো ও শুক্কুরকে টেকনাফ সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কঙবাজার জেলা সদরে প্রেরণ করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভুট্টোকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, নুরুল হক ভুট্টোর বিরুদ্ধে টেকনাফসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ২০১৬ সালের ১৩ মে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ভুট্টো ও তার বাহিনীর হামলার শিকার হন কঙবাজারে কর্মরত ৬ জন টিভি সাংবাদিক।
ভুট্টোর আত্মীয় সাহাব উদ্দিন বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জের ধরে প্রতিপক্ষ একরাম বাহিনী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ।
উল্লেখ্য, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড মৌলভী পাড়া, নাজিরপাড়া কেন্দ্রিক কয়েকটি সিন্ডিকেট আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিবাদে জড়িত রয়েছে। বিশেষ করে মাদকদ্রব্য পাচার নিয়ন্ত্রণ ও জমি দখল- বেদখল নিয়ে ভুট্টো বাহিনী ও একরাম বাহিনীর মধ্যে হামলা, মামলার ঘটনা প্রায় ঘটে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ভুট্টো নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনো কেউ এজাহার দায়ের করেনি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের আটকে তৎপরতা চলছে।
