করোনাকালে তৃতীয় সিরিজ খেলতে আবার বিদেশের পথে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এবার মিশন জিম্বাবুয়ে। আজ ভোরে মোমিনুল হকের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের টেস্ট স্কোয়াডের ১৭ জন রওয়ানা হয়েছে জিম্বাবুয়ের পথে। ভোর ৪টায় ঢাকা ছেড়ে গেছে ক্রিকেটাররা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দলের সাথে জিম্বাবুয়েতে যোগ দেবেন সাকিব আল হাসান। শুরুতে ১৭ সদস্যের টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা করা হলেও পরে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের ইনজুরির কথা ভেবে দলে যোগ করা হয় মাহমুদউল্লাহকে। প্রায় ১৬ মাস পর টেস্ট দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। এদিকে ছুটিতে থাকা কোচিং স্টাফের সদস্যরা নিজ নিজ দেশ থেকে যোগ দেবেন দলের সঙ্গে। সদ্য নিয়োগ পাওয়া স্পিন বোলিং পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথের সঙ্গে দলের দেখা হবে কাতারের দোহায় ট্রানজিটে। জিম্বাবুয়েতে সিরিজের একমাত্র টেস্ট শুরু আগামী ৭ জুলাই। এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ১৬ জুলাই। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ মাঠে গড়াবে ২৩ জুলাই। সব ম্যাচই হবে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে। এদিকে ওয়ানডে স্কোয়াডের যারা টেস্ট স্কোয়াডে নেই তারা ঢাকা ছাড়বেন ৯ জুলাই। টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের অন্যরা যাবেন ১৬ জুলাই। হারারেতে মাত্র এক দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বাংলাদেশ দলকে। এরপর জৈব-সুরক্ষা বলয়ে হবে সিরিজ। জিম্বাবুয়েতে এবার দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও পাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী শনি ও রোববার হবে দুই দিনের ম্যাচ। যদিও সে ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ঠিক হয়নি। ওয়ানডে সিরিজের আগে একটি একদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা ১৪ জুলাই।
সবশেষ ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে পিছিয়ে পড়ার পর ড্র করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। তবে হেরেছিল ওয়ানডে সিরিজে। এরপর থেকে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। সবকটিই বাংলাদেশে। তাতে জিম্বাবুয়ে জিততে পেরেছে কেবল চার ম্যাচ। ১৬ ওয়ানডের সবকটি জিতেছে বাংলাদেশে। ৬ টেস্টে হেরেছে একটি। ১০ টি-টোয়েন্টিতে হেরেছে তিন ম্যাচে।
জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য টেস্ট স্কোয়াড: মোমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, ইয়াসির আলি চৌধুরি, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ চৌধুরি, তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন চৌধুরি ও শরিফুল ইসলাম।
