চুল পড়া বন্ধে আগে জানতে হবে চুল পড়ার কারণ

সোনিয়া সুলতানা লাবনী | শুক্রবার , ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ

চুল পড়া সমস্যার শিকার হননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস, আবহাওয়া ইত্যাদি সবই চুল পড়ার পিছে ভূমিকা রাখে। তবে প্রাকৃতিকভাবেও একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় চুল পড়তে পারে। আমাদের মাথায় যত চুল আছে তার সবকটা বৃদ্ধি পায় না। শতকরা ৯০ শতাংশ চুল নিয়মমাফিক বৃদ্ধি পায় এবং বাকি ১০ শতাংশ চুল রেস্টিং ফেইজ বা অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকে।

 

রেস্টিং ফেইজের চুলগুলোই সাধারণত ঝরে পড়ে এবং তার বিপরীতে পুনরায় নতুন চুল গজায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনিক প্রায় ১০০ টি চুল পড়া স্বাভাবিক বিষয়। তবে এর বেশি চুল পড়লে বুঝতে হবে ১০ শতাংশের বেশি চুল রেস্টিং ফেইজে চলে গেছে এবং চুলের ক্ষতি হচ্ছে। এর কারণ হতে পারে দৈনন্দিন জীবনধারা, দীর্ঘস্থায়ী কোনো অসুখ বা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। এমতাবস্থায় একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বা ট্রিকলোজিস্টের শরণাপন্ন হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

আবার, সূর্যের আলো চুলের জন্য উপকারি হলেও এর ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি চুল ঝরে পড়ার কারণ হতে পারে। ইউভি রশ্মি চুলকে দুর্বল ও শুষ্ক করে দেয়, ফলে চুলের প্রাকৃতিক জৌলুষ হারিয়ে যায় ও চুলে ফাটল ধরে। এতে করে চুল পড়ার হার স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এছাড়া অতিরিক্ত শক্ত করে চুল বাঁধলে, ভেজা অবস্থায় চুল আঁচড়ালে, চুল পরিষ্কার না রাখলে বা যত্ন না নিলে তা অকালেই ঝরে যেতে পারে।

তবে বর্তমানে বিশেষ করে নারীদের চুলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে চুলে সঠিক প্রসাধনী পণ্য ব্যবহার না করা। ত্বকের মতো চুলের ধরনেও ভিন্নতা থাকে। যদি চুল শুষ্ক অবস্থায় তৈলাক্ত চুলের জন্য উপযোগী শ্যাম্পু ব্যবহার করা হয়, তা অবশ্যই চুলের জন্য উপকার বয়ে আনবে না! তাই মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিৎ এবং ভালো ফলাফল পেতে তেল বা শ্যাম্পু কেনার আগে তাতে কী কী উপাদান আছে সেটি দেখে নেয়া উচিৎ। আরও ভালো হয় ঘন ঘন ব্র্যান্ড পরিবর্তন না করা। যেই ব্র্যান্ডটি মানসম্মত ও চুলের জন্য উপকারি, সেই ব্র্যান্ডের পণ্যই সবসময় ব্যবহার করা উচিৎ।

বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রসাধনীর মধ্যে প্যারাসুট অ্যাডভান্সড এক্সটা কেয়ারএর পণ্যগুলো গ্রাহকদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। নারিকেল তেল, এলোভেরা, মেথি ও আমলকীর অনন্য মিশ্রণে তৈরি প্যারাসুট অ্যাডভান্সড এক্সট্রা কেয়ার অ্যান্টি হেয়ারফল অয়েল চুলের যত্নে অনন্য একটি পণ্য। এছাড়া তেলের বোতলে আছে একটি রুট অ্যাপ্লাইয়ার, যার সাহায্য তেল গোড়া পর্যন্ত পৌঁছে চুলের সেরা যত্ন নিশ্চিত করে।

বাড়তি রূপচর্চার জন্য অনেকেই, বিশেষ করে যারা মিডিয়াতে কাজ করেন তারা কাজের সুবাদে চুলে বিভিন্ন কেমিক্যাল বা অতিরিক্ত হিট দিয়ে থাকেন। ঘন ঘন চুল কালার করা বা অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার চুল পড়ার অন্যতম একটি কারণ।

আরো একটি কারণ হলো গরম তাপ বা জোরে বাতাস প্রয়োগের মাধ্যমে চুল না শুকানো। এর ফলে চুল উজ্জলতা হারাতে পারে ও চুলের গোড়ায় ফাটল ধরে অকালে ঝরে যেতে পারে। পাশাপাশি দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপগ্রস্ত থাকলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চুল পড়তে পারে। একইসাথে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ছত্রাক সংক্রমণ বা খুশকির আক্রমণ, গুরুত্বর কোন অসুখ ইত্যাদি কারণেও চুল পড়তে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুর্নিতীবাজ ঠিকাদারদের নিয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেনের বৈঠক
পরবর্তী নিবন্ধসভাপতিসহ পরিচালনাপর্ষদের সদস্যরা বরখাস্ত