চসিকের রাজস্ব শাখার গতি বাড়ানোর উদ্যোগ

ভূ-সম্পত্তি বিভাগকে ঢেলে সাজানোসহ একাধিক সিদ্ধান্ত

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৪ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:৪০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) রাজস্ব শাখার গতি বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে সাধারণ সভায় গৃহীত একাধিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছে সংস্থাটি। সিদ্ধান্তগুলো কার্যকরে ইতোমধ্যে সংস্থাপন শাখা থেকে একটি অফিস আদেশও জারি করা হয়। সিদ্ধান্তগুলো কার্যকরের মধ্য দিয়ে করের আওতা বৃদ্ধি করে করের বোঝা কমানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, সাধারণ সভায় যেসব সিদ্ধান্ত হয় তা রেজ্যুলেশন আকারে বের হতে হতে অনেক সময় দেরি হয়ে যায়। দেখা যায় আরেক সভা চলে আসছে। তাই বাস্তবায়নের সুবিধার্ধে সিদ্ধান্তগুলোর বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
এদিকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জারিকৃত অফিস আদেশে বলা হয়, কর কর্মকর্তা, উপ-কর্মকর্তা কর আদায়কারী ও লাইসেন্স কর্মকর্তা, ইন্সপেক্টর এর পারফরমেন্স সঠিক প্রতিবেদন মাসওয়ারী উপস্থাপন এবং টার্গেট অনুযায়ী আদায়ে ব্যর্থ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চাকরি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্ল্যান স্থাপনে আদায়কৃত ফি মাস ওয়ারী উপস্থাপন এবং রাজস্ব আদায়ের পরিধি বৃদ্ধি করে ২৬ টি আদায়যোগ্য খাত হতে রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থা করতে বলা হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, বর্তমানে ভূ-সম্পত্তি বিভাগের কার্যক্রম সন্তোষজনক নয় বিধায় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা নিয়োগসহ সম্পূর্ণ শাখাকে ঢেলে সাজানোর মাধ্যম শাখার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ্য গত ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় চসিকের সাধারণ সভা। এতে চসিকের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। চসিকের বেহাত হওয়া সম্পত্তির ব্যাপারে বার বার তাগাদা দেয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এ অসন্তুষ্টির কারণ। তাই জরুরি ভিত্তিতে একজন ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা নিয়োগসহ পুরো শাখাকে ঢেলে সাজানোর নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে মেয়র বলেন, কর্পোরেশনের অনেক সম্পত্তি এখানো বেহাত আছে। বারবার তাগাদা দেয়ার পরও ভূ-সম্পত্তি শাখা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের সমস্ত সম্পত্তি, সম্পত্তি থেকে আদায়কৃত রাজস্ব ওয়ার্ড ওয়ারী হিসাব ১৫ দিনের মধ্যে মেয়র বরাবর উপস্থাপন করতে বলা হয়। এছাড়া আমদানি রপ্তানি পণ্যের উপর কর আদায় এবং বিআরটিএ কর্তৃক কর আদায়ের বিষয়ে মন্ত্রণালয় এবং বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরিত পত্রের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে ও বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। প্রয়োজনে পুনঃপত্র প্রেরণ পূর্বক যোগাযোগ করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তার অগ্রগতি আগামী সাধারণ সভার পূর্বে মেয়র বরাবর বরাবর লিখিতভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, সিদ্ধান্তগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তার অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সচিবালয় বিভাগকে লিখিতভাবে অবগত করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্রে এত গুম কেন?
পরবর্তী নিবন্ধক্রেতাদের অভিযোগ বেশি দাম বিক্রেতাদের দাবি খরচ বেড়েছে