যুক্তরাষ্ট্রে এত গুম কেন?

প্রশ্নের মুখে দূতাবাস কর্মকর্তারা

| বৃহস্পতিবার , ১৪ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনে এসে যুক্তরাষ্ট্রে এত গুম কেন? সে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। খবর বিডিনিউজের।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে মঙ্গলবার দেশভিত্তিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৯৮টি দেশ এবং অঞ্চলের ২০২১ সালের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, নির্যাতন, সরকার কিংবা সরকারের এজেন্টদের মাধ্যমে নাগরিকদের অমানবিক শাস্তি, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, কারাগারে জীবন-সংকটাপন্ন পরিস্থিতি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিশোধ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বাধা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ, সাংবাদিক নির্যাতন, ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধের মত মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরা হয়। এছাড়া নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার ও তাদের জবাবদিহিতার বাইরে থাকার কথা বলা হয়।
এ প্রতিবেদনের বিষয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে সংবাদ সম্মেলনে আসেন দূতাবাসের দুই কর্মকর্তা। এ সময় একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘পাবলিকলি’ বলে থাকেন যে, বাংলাদেশে ৬০০-৭০০টি গুমের ঘটনা ঘটেছে। আর আমেরিকায় প্রতি বছর এক লাখের মতো মানুষ গুম হয়। এ বিষয়ে দূতাবাসের মত কী?
জবাবে দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সমস্যাকে অস্বীকার করছে না। কিন্তু সমস্যাগুলোকে যদি আমরা ইগনোর করি, তাহলে সেগুলোর সমাধান হবে না। আমরা আমাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করি এবং সেগুলো সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের থাকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ড পৌর কাউন্সিলর জসিমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি
পরবর্তী নিবন্ধচসিকের রাজস্ব শাখার গতি বাড়ানোর উদ্যোগ