ক্রেতাদের অভিযোগ বেশি দাম বিক্রেতাদের দাবি খরচ বেড়েছে

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৪ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ

ধীরে ধীরে জমে উঠতে শুরু করেছে নগরীর ঈদ বাজার। ইফতারের পর থেকে বিভিন্ন শপিং মল এবং ফ্যাশন হাউসগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়ছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, মার্কেটগুলোতে পোশাকের বাড়তি দাম নিচ্ছে বিক্রেতারা। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, ব্যবসায় আগের তুলনায় খরচ বেশি বেড়ে গেছে। গত দুই বছর ধরে ব্যবসায়ীরা টানা লোকসান দিয়ে গেছে। অপরদিকে প্রতি বছরের মতো এবছরও বিদেশি পোশাকে সয়লাব ঈদের বাজার। বিশেষ করে ভারত এবং পাকিস্তানি পোশাক বাজার দখল করে রেখেছে।
দেশীয় উদ্যোক্তারা জানান, নগরীর টেরীবাজার এবং রিয়াজুদ্দিনসহ বিভিন্ন বড় বড় শপিংমল জুড়ে বিদেশি পণ্যের আধিক্য। এসব পণ্যের প্রতি আমাদের দেশের মানুষের আবার আগ্রহও বেশি। দেশীয় উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, অধিকাংশ পণ্যই আসেই কর ফাঁকি দিয়েই। তাই ব্যবসায়ীরা কম দামে চাইলেই এসব পণ্য বিক্রি করে দিতে পারেন। গতকাল সরেজমিনে নগরীর টেরীবাজার, রিয়াজুদ্দিন বাজার, নিউমার্কেট, জহুর হকার্স মার্কেট, তামাকুমণ্ডি লেইন, ভিআইপি টাওয়ার, আমিন সেন্টার, ইউনেস্কো সেন্টার, সেন্ট্রাল প্লাজা, আফমি প্লাজা এবং শপিং কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকজন বিক্রেতা শো রুমে কাপড় সাজাচ্ছেন। আবার কিছু বিক্রেতা ক্রেতাদের সাথে বিভিন্ন ড্রেসের খুঁটিনাটি বিষয় শেয়ার করছেন। ক্রেতারাও পছন্দের ড্রেসটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন। অপরদিকে একই দৃশ্য দেখা গেছে, স্যানমার ওশান সিটি, ইউনেস্কো সেন্টার, আমিন সেন্টার, শপিং, ফিনলে স্কয়ার, আফমি এবং মিমি সুপার মার্কেটে। নগরীর তামাকুমণ্ডি লেইনে পরিবার নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী ইমাম হোসেন। তিনি বলেন, মেয়ের জন্য ফ্রক, স্ত্রীর জন্য শাড়ি এবং আমার জন্য একটি পাঞ্জাবি কিনেছি। যদিও ঈদের বাজার এখন পর্যন্ত সেভাবে জমে উঠেনি। জহুর হকার্স মার্কেটের অলিদ ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী এম এম ইলিয়াছ উদ্দিন বলেন, ধীরে ধীরে জমে উঠছে ঈদ বাজার। ইফতারের পর থেকে ক্রেতা সমাগম বাড়ছে। আমাদের দেশে ঈদের বেচাকেনা বাড়ে শেষ মুহূর্তে। তাই ব্যস্ততা এখন খুব বেশি নয়।
জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফজলুল আমিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, জহুর হকার্স মার্কেটে সব শ্রেণীর ক্রেতাদের আনাগোনা থাকে। কারণ এখানে ক্রেতারা সুলভ মূল্যে ভালো পণ্যটি পেয়ে থাকে। তাই জহুর হকার্স ক্রেতদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। ঈদের মার্কেটের কথা বলতে গেলে, মার্কেট পুরোপুরি জমে উঠতে আরো সপ্তাহ খানেক সময় লাগতে পারে। তারপরেও এখনও আশাব্যঞ্জক ক্রেতারা আসছেন।
তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক দৈনিক আজীকে বলেন, মার্কেটে যে পরিমাণ ক্রেতারা আসছেন, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। ঈদ মার্কেটকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। যেহেতু এ বছর করোনা ভাইরাসের ঝামেলা নাই, তাই আমরাও আশা করি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের টাকাটাও উঠে আসবে। একই সাথে গত দুই বছরের ক্ষতিটা কাটিয়ে উঠতে পারবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচসিকের রাজস্ব শাখার গতি বাড়ানোর উদ্যোগ
পরবর্তী নিবন্ধভূমি জটিলতা নিরসন, তিনটি প্যাকেজে টেন্ডার শিগগিরই