চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ‘হাইদগাঁও স্মার্ট ভিলেজ’ শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগ

বিভাগীয় ইনোভেশন শোকেসিংয়ের সমাপনী

| সোমবার , ২৫ মার্চ, ২০২৪ at ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বিভাগীয় পর্যায়ের ‘ইনোভেশন শোকেসিং’ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সমাপনী অনুষ্ঠানে ৭৯টি উদ্ভাবনী উদ্যোগের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্ভাবনী উদ্যোগ পটিয়ার ‘হাইদগাঁও স্মার্ট ভিলেজ’ প্রথম ও শ্রেষ্ঠ হয়েছে।

গতকাল দুপুরে জামালখানস্থ শাহ ওয়ালীউল্লাহ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের হাত থেকে উদ্ভাবনী উদ্যোগের প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। উদ্ভাবনী উদ্যোগে ‘নদী ও খালবিলের জন্য কচুরিপানাকে কাজে লাগিয়ে জৈব সার উৎপাদন করে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’র জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ‘এগ্রিকালচার রোবট উইথ এনভায়রনমেন্ট মনিটরিং’র জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি) চট্টগ্রাম যুগ্মভাবে দ্বিতীয় হয়েছে। ‘নকল ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার ও রেজিস্ট্রেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’র জন্য রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তৃতীয় এবং ‘ডিসি এডভেঞ্চার ও ইকো ট্যুরিজম পার্ক’র জন্য খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চতুর্থ হয়েছে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার গাজালা পারভীন রুহির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরেআলম মিনা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. কাজী এস.এম খসরুল আলম কুদ্দুসী।

এর আগে সকাল ১১টায় একই ভেন্যুতে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ও উদ্ভাবন : ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও গাজালা পারভীন রুহির সঞ্চালনায় সেমিনারে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল সেমিনার পেপার উপস্থাপন করেন ড. কাজী এস.এম খসরুল আলম কুদ্দুসী। আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বিকর ইকবাল, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন চট্টগ্রামের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন ও বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম চাপ্টারের চেয়ারম্যান স্থপতি আশিক ইমরান। ইনোভেশন শোকেসিংয়ে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও সিটি কর্পোরেশনসহ চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা, উপজেলা, সরকারি ও বেসরকারিসহ মোট ১৯টি প্রতিষ্ঠানের ৭৯টি আইডিয়া উপস্থাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার এডিসি, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তা, উদ্ভাবক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকশিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইনোভেশনের বিকল্প নেই। এ জন্য সরকার ইনোভেশনের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। এ ইনোভেশন শোকেসিং এর উদ্দেশ্য হলো আমরা স্মার্ট এবং আধুনিক হব। কোন নাগরিক সেবা গ্রহণ করতে গিয়ে যাতে প্রতিবন্ধকতার কবলে না পরে সেজন্য নতুন নতুন ইনোভেটিভ উপায় বের করার জন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তরুণ সমাজ বা বিভিন্ন দপ্তর তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সেগুলোর সমাধান বের করার জন্য তাদের কী ধরনের চিন্তাধারা রয়েছে তা প্রকাশ করার জন্যই এ ইনোভেশন শোকেসিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচুয়েটে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি সেলের প্রশিক্ষণ কর্মশালা
পরবর্তী নিবন্ধপবিত্র রমজানের মহিমায় ভ্রাতৃত্যের বন্ধন আরো সুদৃঢ় করতে হবে