চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান সড়কের পটিয়ায় যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার ও সিএনজিচালিত টেক্সি সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের বোর্ড অফিস এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় গাড়িতে থাকা উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন সবুজ ও তার স্ত্রী প্রাণে বেঁচে যান। আহতরা হলেন নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন মো. ফারুক (৩৮), পটিয়ার বড়লিয়া ইউনিয়নের মো. কাদের (২৪), কেলিশহর ইউনিয়নের শাহদাত হোসেন (২০) ও খরনা ইউনিয়নের মো. ফারুক (৩০)।
জানা গেছে, জঙ্গলখাইন ইউপি চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন সবুজ নগরীর বাসা থেকে স্ত্রীকে নিয়ে নিজের প্রাইভেট গাড়ি করে পটিয়ার জঙ্গলখাইন গ্রামে যাচ্ছিলেন। তাদের গাড়িটি কুসুমপুরা ইউনিয়নের বোর্ড অফিস এলাকায় পৌঁছলে চট্টগ্রামমুখী শ্যামলী পরিবহনের একটি চেয়ারকোচের সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রাইভেট গাড়িটি ধুমড়ে মুচড়ে যায়। এক পর্যায়ে পিছন থেকে আরেকটি সিএনজিচালিত টেক্সি চেয়ারম্যানের গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় টেক্সিতে থাকা ৪ জন যাত্রী আহত হয়। তাদেরকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার খোরশেদ আলম জানিয়েছেন।
জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন সবুজ জানান, তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে চেয়ারকোচের সঙ্গে তাদের গাড়ির মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময় তিনি ও তার স্ত্রী প্রাণে বেঁচে যায়।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ চেয়ারম্যানের প্রাইভেট গাড়ি ও টেক্সিটি উদ্ধার করেছে। আটক করেছে চেয়ারকোচটি। পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।












