উখিয়া সদরের মুহুরীপাড়া এলাকায় স্থানীয় এক ব্যক্তির দখলাধীন পাহাড় কেটে সমতল করার কাজ করছিলেন একদল রোহিঙ্গা শ্রমিক। মাটি কাটার এক পর্যায়ে উপরে থাকা স্থানীয় নেছার আহমদের বাড়ির আঙ্গিনা অংশের পাহাড় ধসে পড়লে তাতে চাপা পড়ে কর্মরত তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। গতকাল বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন উখিয়ার কুতুপালং ১/ইস্ট ক্যাম্পের বি/১ ব্লকের মৃত মো. ওয়ারেসের পুত্র সৈয়দ আকবর (২০), ডব্লিউ/১ ক্যাম্পের সি/১৪ ব্লকের মৃত আবদুল মতলবের পুত্র জাহিদ হোসেন (২৪) ও ১৭ নম্বর ক্যাম্পের এইচ/১০৭ নম্বর ব্লকের সুলতান আহাম্মদের পুত্র নুর কবির (২৭)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুহুরীপাড়ার টনা মিস্ত্রির ভোগদখলীয় বন বিভাগের রক্ষিত পাহাড় কাটার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। উখিয়া বন রেঞ্জ সূত্র জানায়, সরকারি পাহাড় নিধনের অভিযোগ ছিল টনা মিস্ত্রি, নেছার আহমদসহ ৬ জনের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। তাদের নামে বিগত দিনেও মামলা দায়ের করেছিল বনবিভাগ।
স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, ক্যাম্পে নিরাপত্তা বেষ্টনী ও এপিবিএন পুলিশ থাকার পরেও ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে চলে আসছে রোহিঙ্গারা। যারা রোহিঙ্গাদের কম মজুরিতে কাজ করিয়ে বন উজাড়, পাহাড় কাটার মত বেআইনি কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান তারা।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভেল ডিফেন্সের স্টেশন ইনচার্জ এমদাদুল হক জানান, দুইজনের মরদেহ সকাল ৯টার দিকে উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ছৈয়দ আকবরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে স্থানীয় লোকজন, উখিয়া থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য কঙবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
