কোনো ধরনের গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জেলা প্রশাসকের

হাসপাতালে একজন রোগী থাকা পর্যন্ত সেবা কেন্দ্র চালু থাকবে

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৬ জুন, ২০২২ at ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ

‘কেমিক্যাল ছড়িয়ে পড়ছে বঙ্গোপসাগরে’ এমন গুজব ছড়াচ্ছে অনেকে। এ বিষয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেনার ডিপোতে যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে কোনো রকম কেমিক্যাল বঙ্গোপসাগরে পড়ছে না। ফায়ার সার্ভিস টিম যে পানি দিয়ে আগুন নিভাচ্ছিল, সে পানি যে খাল বা নালা দিয়ে নিঃসরণ হচ্ছিল, সে ড্রেনের মুখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা খুব চমৎকারভাবে বাঁধ দিয়ে দেন। যার কারণে এ কেমিক্যাল থেকে কোনো রকম পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনা নেই। ইতিমধ্যে গত শনিবার রাত থেকে পরিবেশ অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে এবং তারা সার্ভে করছে। বাতাসে কিংবা পানিতে বা স্থলভাগে কোনো ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে পড়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) জরুরি বিভাগের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক এ সব কথা বলেন। সত্যিকারের ঘটনা তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ১৩ টি মরদেহ শনাক্ত করেছি। প্রথম বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের ৯ জনসহ যারা নিহত হয়েছেন তাদের মরদেহ আমরা দেখেছি। এ মরদেহগুলো পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। ফরেনসিক টেস্ট ছাড়া তাদের পরিচয় নিশ্চিত হতে পারব না। আমরা কার্যক্রম চালাচ্ছি। খুব দ্রুত আমরা এ কাজ সম্পন্ন করতে পারব। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করছে। তারা মতামত না দেয়া পর্যন্ত কী কারণে কিভাবে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা বলা যাচ্ছে না। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরদেহ শনাক্ত করার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হাসপাতালে একজন রোগী থাকা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের সেবা কেন্দ্র চালু থাকবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যও রয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১৪৬ জন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাড়াও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সংকটাপন্ন ৮ রোগীকে হেলিকপ্টারে করে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক বলেন, ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে ২ লাখ টাকা করে দেয়া হবে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে নিহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার ও আহতদের ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচমেকে ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান
পরবর্তী নিবন্ধবলাৎকারের অভিযোগে রাঙ্গুনিয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার