দুই ছাত্রকে বলাৎকারে অভিযুক্ত শিক্ষক আটক

রাঙামাটি প্রতিনিধি | রবিবার , ৫ মে, ২০২৪ at ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ

রাঙামাটির লংগদুতে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া দুই শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে একটি মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের রাজনগর মুহাম্মদিয়া জামিয়া শরিফ নামের একটি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকের পর শনিবার লংগদু থানায় মামলাও হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মো. ফারুক আহমেদ (৭০)। তিনি মাদ্রাসার বাংলা বিষয়ে শিশুদের পড়ান কয়েকবছর ধরে। এর আগে, তিনি পুলিশে কর্মরত ছিলেন বলে জানায় এলাকাবাসী। এছাড়া গুলশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পদে আছেন বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

দুই শিশুর অভিভাবকরা জানান, শিক্ষক ফারুক বাগান থেকে বাঁশ আনবেন বলে গত বুধবার এক শিশু শিক্ষার্থীকে বাঁশ বাগানে নিয়ে যান। বাগানের টং ঘরে শিশুটিকে বলাৎকার করেন এবং কাউকে বলতে নিষেধ করে ৫০ টাকা চকলেট খেতে দেন। এরপর শুক্রবার আরেক শিশু শিক্ষার্থীকেও বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বাঁশ বাগানের একই স্থানে গিয়ে বলাৎকার করেন। শিশুটি বাড়িতে ফিরে অসুস্থবোধ করলে পুরো ঘটনা জানতে পারেন অভিভাবকরা। এরপর স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িকে বিষয়টি জানালে তারা শুক্রবার রাতেই অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে। শনিবার সকালে অভিভাবকরা থানায় মামলা করেন। তারা এই ভণ্ড শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।

এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও একই মাদ্রাসার অন্য কয়েকজন ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠলে এলাকার মানুষজন স্থানীয়ভাবে সমাধান করে দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধার্মিক মানুষের মুখোশ পড়ে সকলের অগোচরে তিনি এসব অপকর্মে লিপ্ত আছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ওই মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা হাফিজ বলেন, শুক্রবার আমাদের মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। ফারুক স্যার আমাকে কল দিয়ে বলেছিলেন বাগান থেকে কিছু বাঁশ আনবেন। সেই সুবাদে মাদ্রাসার ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে যান। পরবর্তীতে লোক মুখে শুনি তিনি সেই ছাত্রদের বলাৎকার করেছেন। যদি এর সত্যতা পাই তাহলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মাওলা বলেন, শিশুদের পরিবার আমার কাছে আসলে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসি। দুইপক্ষের কথা শুনে আমি তাদের আইনের আশ্রয় নিতে সহযোগিতা করি।

গুলশাখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওলি উল্লাহ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত ফারুক আহমদকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য ফাঁড়িতে নিয়ে আসি। পরে তাকে লংগদু থানায় হস্তান্তর করি।

লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযোগ আমলে নিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘এসির ব্যবহার না কমালে সবুজ বাড়িয়েও লাভ হবে না’
পরবর্তী নিবন্ধএকই সম্পত্তি একাধিক ব্যাংকে বন্ধক রেখে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৭