কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা, সীতাকুণ্ডে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | রবিবার , ১৩ আগস্ট, ২০২৩ at ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সীতাকুণ্ডে কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ ফসলি জমিতে এখনও পানি জমে আছে। পানি নিষ্কাশন হতে যদি আরও ৩৪ দিন লেগে যায় তাহলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার হেক্টর। ৬০০ হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়েছিল। সমপ্রতি অতিবৃষ্টিতে ৩০০ হেক্টর জমির বীজতলা পুরো নষ্ট হয়েছে। জমিতে এখনও জলাবদ্ধতা। এ নিয়ে হাজারো কৃষক চরম বিপাকে পড়েছেন। বন্যার পানি দ্রুত অপসারণ না হলে পরবর্তী ফসল ঘরে তোলা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। তবে সরকারিভাবে সীতাকুণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ণয় করা হয়নি। কৃষকরা জানিয়েছেন, টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে ৪৫০ হেক্টর জমির রোপা আউশ, আমনের বীজতলা, শাকসবজিসহ নানা জাতের ফসল। দীর্ঘ সময় ধরে পানির নিচে তলিয়ে আছে ফসলের জমি। ধানগাছ পচতে শুরু করেছে। এতে ১০ হাজার কৃষক পরিবার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। উপজেলার সৈয়দপুরের বগাচতর, শেখের হাট; বারৈয়াঢালা এলাকার বহরপুর, ফেদাইনগর; মুরাদপুরের বশরতনগর; পৌরসভার শিবপুর; বাড়বকুণ্ড এলাকার ফসলি ক্ষেত ডুবে আছে। বগাচতরের কৃষক আকবর আলী বলেন, আমাদের এলাকার কৃষকের সব জমিই পানির নিচে তলিয়ে আছে। বীজতলা আর কোনো কাজে আসবে না। ঝিঙা, করলা, কাঁকরোল, পটল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, এ বছর উপজেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপনের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বীজতলা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি শাকসবজি ডুবে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা যাতে সংকটে না পড়েন তাই বিভিন্ন জাতের ধানের বীজে জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে সাতকানিয়ায় ত্রাণ বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে আন্তর্জাতিক যুব দিবসে র‌্যালি