নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় সংগঠকরা ১৬ পদে ২৩ জনের মনোনয়ন সংগ্রহ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ২৭ মে, ২০২৪ at ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত বছরের নভেম্বরে। সে নির্বাচনের দুঃসহ স্মৃতি এখনো ভুলতে পারেনি চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। কারণ নির্বাচনকে ঘিরে যখন উৎসবের সৃষ্টি হয়েছিল ঠিক তখনই ভোটের আগের দিন রাতে সব উৎসাহে জল ঢেলে দিয়েছিলে একটি স্লিপ। এবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের নির্বাচন। যদিও এই সংস্থাটির নির্বাচন জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনের মত অতটা আলোচিত নয়। তারপরও ফুটবল সংশ্লিষ্টরা এই নির্বাচনকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখে। গতকাল ছিল নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র বিক্রয়ের দিন।

আর এই দিনে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি এস এম শহীদুল ইসলাম ছাড়া আর কেউ মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেনি। কাজেই তিনি বিনা বাধায় নির্বাচিত হয়ে যাবেন সেটা বলাই যায়। তবে বাকি পদ গুলো একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছেন। দুইটি সহ সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন নিয়েছেন চারজন। তারা হলেন মো: মসিউল আলম, মোহা: শাহজাহান, মো: আমিনুল ইসলাম এবং নজরুল ইসলাম লেদু। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম লেদু বর্তমান কমিটির সহ সভাপতি। আর মোঃ শাহজাহান বর্তমান কমিটির কোষাধ্যক্ষ। এবারের নির্বাচনে কোষাধ্যক্ষ পদে মনোনয়ন নিয়েছেন দুজন। তারা হলেন সিজেকেএস নির্বাহি কমিটির সদস্য দিদারুল আলম এবং সিজেকেএস কাউন্সিলর সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি। আর নির্বাহি সদস্যের ৯টি পদের বিপরীতে মনোনয়ন নিয়েছে ১৬ জন। তারা হলেন হারুন আল রশীদ, মাহমুদুর রহমান মাহবুব, আবু সৈয়দ মাহমুদ, আলী আকবর, মো: জাফর ইকবাল, সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, হেলাল উদ্দিন মো: সাইফুল ইসলাম, কাজী মো: জসীম উদ্দীন, সাইফুল আলম খাঁন, মো: রাশেদ, মোহাম্মদ ইসহাক, জহির উদ্দিন, মোশারফ হোসেন লিটন, মসিউল আলম, এম এ মুছা বাবুল এবং জসীম আহমেদ। ফুটবল এদেশে সবচাইতে জনপ্রিয় খেলা হলেও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের নির্বাচন নিয়ে নেই কোন আলোচনা। ক্রীড়াঙ্গনে এই নির্বাচনের খবরও রাখছেনা কেউই। তারপরও একটা অজানা ভয় কাজ করছে যারা নির্বাচন করতে নেমেছে তাদের মধ্যে। কথায় আছেনা “ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়”। তেমনি চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট নির্বাচন আসলেই তাদের মধ্যে যেন অতীতের দুঃসহ সেই স্মৃতি মনে পড়ে যায়। তাই নির্বাচন নিয়ে তারা বিশ্বাস রাখতে পারেনা। তাদের মতে আমরা যতই চেষ্টা করি দিন শেষে কোন একটা ম্যাকানিজমের মাধ্যমে নির্বাচনটাকে প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত করা হবে।

তাই যতটা উৎসাহ নিয়ে জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ক্রীড়া সংগঠকরা সময় গড়ানোর সাথে সাথে হয়তো চুপসে যাবে তাদের সে উৎসাহ। কারণ চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের নির্বাচন অন্তত গত ১২ বছর ধরে উধাও হয়ে গেছে। এখন দেখার বিষয় আগামী ৮ জুন আদৌ নির্বাচন হয় কিনা নাকি সব আই ওয়াশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনে
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ৮.৩০ কোটি টাকা