কি ছু জা না কি ছু অ জা না

প্রবীর বড়ুয়া | বুধবার , ১৭ মে, ২০২৩ at ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ম পৃথিবীতে ফুল উৎপন্নকারী ৩ লাখেরও বেশি প্রজাতির গাছ আছে।

ম পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ফুল হলো ওয়ারটারমিল যা আড়াআড়িভাবে মাত্র ০.১ মিলিমিটার।

ম পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আকারের ফুল হলো র‌্যাফলেশিয়া আরনল্ডি। ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে যে ফুলটি পাওয়া যায় সেটির আড়াআড়ি দৈর্ঘ্য ছিল ১১১ সেন্টিমিটার অর্থাৎ ৩ ফুট ৭.৬ ইঞ্চি।

ম কিছু ফুল মাংসাশী এবং খাওয়ার জন্য প্রাণী ও পোকামাকড়কে ফাঁদে ফেলতে পারে। এরকম একটি ফুল হলো ভেনাস ফ্লাইট্র্যাপ বা বুনো কীটকল।

ম ফুল মৌমাছির গুঞ্জন শুনতে পারে। আবার ফুল এত সূক্ষ্ম গুঞ্জন সৃষ্টি করে যে মানুষ এ আওয়াজ শুনতে পায় না।

ম নিজেকে বাঁচানোর জন্য অনেক ফুলেই কাঁটা থাকে।

ম রঙিন ফুলের চেয়ে সাদা ফুলে সুঘ্রাণ বেশি থাকে।

ম সবচেয়ে কম পাওয়া যায় যে রঙের ফুল সেটি হলো নীল।

ম প্রাকৃতিক রঙ হিসেবে ফুল ব্যবহৃত হয়ে আসছে বহু শতাব্দী ধরে।

ম কিছু ফুল প্রাকৃতিকভাবে কীটনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ পাইরেথ্রাম ডেইজি।

ম ফুল পরাগায়নকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য তাপ উৎপন্ন করতে পারে।

ম মৌমাছি, প্রজাপতি, হামিংবার্ডের মতো পরাগায়নকারীদের কাছে খাবারের উৎস হলো ফুল। ফুলের রস পাখিদের প্রয়োজনীয় খাবারের উৎস। কিছু ফুলেরই সৃষ্টি হয়েছে পরাগায়নকারী পাখিদের আকর্ষণ করার জন্য।

ম স্বল্প সময়ের মধ্যে খুব দ্রুত বেড়ে উঠতে পারে বাঁশ ফুল। এটি এত দ্রুত বাড়ে যে এক দিনে ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত বড় হতে পারে।

ম কিছু কিছু ফুল আবার খাওয়াও হয়। যেমনঃ ন্যাসটারটিয়াম, ভায়োলা এবং ডে লিলি।

ম ফুলকপি ও সবুজ রঙের ব্রক্কোলিকে সবজি হিসেবে খাওয়া হলেও এগুলো কিন্তু সবজি নয়। এগুলো দেখতে ফুলের মতো না হলেও এবং কোনো সুঘ্রাণ না থাকলেও ফুলকপি ও ব্রক্কোলি কিন্তু ফুল।

ম ফুল দিয়ে দীর্ঘতম কার্পেটটি তৈরি করে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছিল চীনের হেনান প্রদেশের কাইফেং নগরী ২০১১ সালের ১৮ অক্টোবর। কাইফেং নগরীর কর্তৃপক্ষ এটি তৈরি করেছিল মাসব্যাপী ২৯তম কাইফেং ক্রিসেন্থেমাম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে। ফুলের তৈরি এই কার্পেটটির দৈর্ঘ্য ছিল ২,০১১ মিটার আর প্রস্থ ছিল ১.৬৫ মিটার। আর ২২,১১০টি ক্রিসেন্থেমাম ফুল ব্যবহার করে ৮ দিনে এটি তৈরি করতে কাজ করেছিল ১২০ জন মানুষ।

ম ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে নেদারল্যান্ডসে টিউলিপ ফুলের কন্দের মূল্য ছিল স্বর্ণের চেয়েও বেশি।

ম পৃথিবীতে ৩০ হাজার রকমের গোলাপ ফুল আছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দামী গোলাপের নাম হলো জুলিয়েট রোজ। ফুলের মধ্যেও এটি সবচেয়ে দামী। এর এক একটি ডাটা অর্থাৎ দণ্ড বিক্রি হয় প্রায় ১৬ হাজার ডলার মূল্যে।

ম প্রাচীন সভ্যতায় দুষ্ট আত্মাকে দূর করার জন্য তারাফুলের পাতা পোড়ানো হতো।

ম প্রাচীন মিশরীয়রা পদ্মফুলকে পবিত্র ফুল হিসেবে মনে করতো এবং মৃতদের কবর দেয়ার সময় ব্যবহার করতো। এই ফুল নদীতে এবং স্যাঁতসেঁতে জায়গায় ফোটে কিন্তু খরার সময় অনেক বছর সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে যাতে পানি পেলে আবার জেগে উঠতে পারে। এ কারণে মিশরীয়রা এই ফুলকে পুনর্জাগরণ ও অনন্ত জীবনের প্রতীক বলে মনে করতো।

ম ড্যানডেলিওন বা সিংহদন্তী ফুলকে আগাছার মতো মনে হলেও এর ফুল এবং পাতা ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়ামের ভালো উৎস।

ম জাফরান একটি দামী মশলা। এটি তৈরি হয় স্যাফরন ক্রোকাস নামে একটি ফুলের মধ্য থেকে।

ম সূর্যমুখী ফুল সারাদিন সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। আর এভাবেই ফুলটি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে ফিরতে থাকে। একটি সূর্যমুখী ফুলে ২ হাজার পর্যন্ত বীজ থাকতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমা ছাড়া মা ছাড়া
পরবর্তী নিবন্ধঅহংকারী রাজা