কারাগারে মীরসরাই পৌর বিএনপি নেতার মৃত্যু

মন্দির ভাঙচুর মামলায় আটক

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৭ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

হাটহাজারীতে মন্দির ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আটক মীরসরাই পৌর বিএনপির আহবায়ক ফকির আহমদ (৬৫) চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা গেছেন। গতকাল সকাল ৯ টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। গত ১৮ অক্টোবর তাকে আটক করেছিল মীরসরাই থানা পুলিশ।
তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান দৈনিক আজাদীকে বলেন, ফকির আহমেদ সকালে নাশতা করেন। ৮টা ২০ মিনিটে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে কারা হাপসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ফকির আহমেদ স্ট্রোক করেছেন জানিয়ে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন চিকিৎসক। পৌনে ৯টায় চমেক হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজাদীর মিরসরাই প্রতিনিধি জানান, ফকির আহমদ মীরসরাই পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের নাজিরপাড়ার বাসিন্দা। গতকাল বাদ মাগরিব নামাজে জানাজা শেষে পারিবরিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
গত ১৮ অক্টোবর রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করে মীরসরাই থানা পুলিশ। পরে হাটহাজারী থানার মন্দির ভাঙচুর ও সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। তাঁর আইনজীবী জামিন চাইলে বিচারক নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
মীরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আমিন ও সদস্য সচিব সালাহ উদ্দিন সেলিম দৈনিক আজাদীকে বলেন, রাজনৈতিক সকল মামলায় জামিনে ছিলেন ফকির আহমদ। পুলিশ অন্যায়ভাবে তাঁকে আটক করে হাটহাজারী থানার মন্দির ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
বিএনপি’র শোক ও নিন্দা : এক বিবৃতিতে ফকির আহমেদের মৃত্যুতে উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। তাঁরা দাবি করেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলায় তাকে আটক করা হয়েছিল। নেতৃবৃন্দ তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
বিবৃতিদাতারা হচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান ও ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান।
বিৃতিতে বলা হয়, ফকির আহমেদের বাড়ি মীরসরাই হলেও তাঁকে আসামী করা হয়েছে হাটহাজারীর মন্দির ভাঙচুরের কথিত মামলায়। এ কথা কেউ বিশ্বাস করবে না যে, একজন বয়স্ক ব্যক্তি হাটহাজারীতে গিয়ে মন্দির ভাঙচুর করবে। শুধুমাত্র বিরোধী দলকে দমন করার জন্য গায়েবী মামলা দিয়ে নেতা্‌কর্মীদের পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধদেওয়ান বাজার ওয়ার্ড ক ইউনিটের সম্মেলন স্থগিত