কাপ্তাই উপজেলার মধ্যভাগ দিয়ে বয়ে যাওয়া কর্ণফুলী নদীতে ডুবে গত ১০ দিনে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ২ জন ছাত্র, ১ জন চা দোকানি এবং ১ জন জেলে। মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনাটি প্রায় একই স্থানে হওয়ায় এই ঘটনাটি অনেকের কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না।
কাপ্তাই দমকল বাহিনী এবং চন্দ্রঘোনা থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১ মে কর্ণফুলী নদীর চিৎমরম এলাকায় জয় কান্তি দে নামক এক শিশু নদীতে ডুবে মারা যায়। জয় চিৎমরম বাজারে একটি চা দোকানে কাজ করতো। এই ঘটনার ৭ দিন পর গত ৭ মে প্রায় একই স্থানে উসালা মারমা (৩৮) নামক এক জেলে ডুবে মারা যায়। এই ঘটনার মাত্র ৪ দিন পর গত ১১ মে চট্টগ্রাম থেকে কাপ্তাই বেড়াতে এসে কর্ণফুলী নদীর সীতারঘাট নামক স্থানে (চিৎমরম এলাকা) নদীতে ডুবে ২ জনের মৃত্যু হয়। তারা দুজনই কলেজ ছাত্র ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, ১০ দিনের ব্যবধানে কর্ণফুলী নদীতে ডুবে যে ৪ জন মৃত্যু বরণ করেছেন তারা সবাই কিন্তু গোসল করতে এবং সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে মারা গেছেন। কর্ণফুলী নদীর মাত্র দুইশ ফুটের মধ্যে এই ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
চিৎমরম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, এই মৃত্যুর ঘটনা অনেকের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। এখন গোসল করতে বা নদীতে নামতে কেউ কেউ আতঙ্কিত হচ্ছেন।
তবে এই ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন কাপ্তাই উপজেলা স্কাউটসের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হাসান। তিনি বলেন, যারা নদীতে ডুবে মারা গেছেন তারা সবাই সাঁতার কাটতে কাটতে নদীর মাঝখানে চলে যান। একপর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং ডুবে মারা যান। তিনি আতঙ্কিত না হয়ে বরং সাবধানতার সাথে সবাইকে নদীতে নামার পরামর্শ দেন।