কন্যা সন্তানের অভিভাবক সবচেয়ে বেশি ত্যাগী

চম্পা চক্রবর্তী | রবিবার , ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

নারীর জীবন ত্যাগী জীবন। তার সাথে একটি মেয়ের মা বাবাও অনেক বড় ত্যাগী বলতে হবে। ভুমিষ্ট হবার পর থেকে একটি কন্যা সন্তানকে মা -বাবা বুকে আগলে রেখে কতো যত্নে বড় করে তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। ভালো স্কুলে ভর্তি করানো থেকে শুরু করে বাবা মায়ের শেষ সঞ্চয় দিয়ে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হোক বা ভার্সিটি পযর্ন্ত লেখাপড়া শেষ করিয়ে তারপর পরের ঘরে দেবার চিন্তা করে। এভাবে কন্যা সন্তান মানুষ করে মূলত মা বাবা কতটুকু পায়?

প্রতিটি মেয়ে তো পরের ঘরে গিয়ে আবার নতুন করে নিজেকে সাজাতে শুরু করে। স্বামী, সন্তান শ্বশুর, শাশুড়ী নিয়ে। এ রকম রেডিমেট ছেলের বউ চায় এখনকার ছেলের বাবা-মা রা। ছেলেদের সমান কষ্ট করে মানুষ করলেও সেটা নিজের ঘরে থাকে। এখনকার ছেলের অভিভাবক কোন মেয়েকে পড়া অবস্থায় বিয়ে করাতে চায় না নিজের টাকা খরচ হবে বলে। একবারও ভাবে না মেয়েটা উনাদের সম্পদ। সে চাকরি করে তো জন্মদাতা মা বাবাকে সব দিয়ে দেবে না। আর মেয়েকে মানুষ করার সময়ও বাবা মা ঐ লোভটুকু মনে হয়, মনের ধারে কাছেও থাকে না। এত বড় ত্যাগী উনারা। মনে করে কন্যা সন্তানটি নিজের পায়ে দাঁড়াক। লেখাপড়া শিখলে অন্তত সে জীবনে কষ্ট পাবে না।

অথচ আগে মেয়েদের মাধ্যমিক পাশ করার সাথে সাথে বিয়ে দিত। অনেক মেয়ের স্বামীভাগ্য ভালো হলে তার ভবিষ্যৎ আলোকিত হয় আর না হয় এখানেই তার ছোটবেলা থেকে দেখে আসা স্বপ্ন ইতি টানতে হয়। কি হবে এত লেখাপড়া করে সেই তো রান্নাঘরে কেটে যাবে। এখন সন্তান মানুষ করতে হবে। শতকরা ৯০% কন্যা সন্তান নিজে কিছু করতে না পারার হতাশা নিয়ে ছেলে মেয়ের পিছনে জীবন কাটিয়ে দেয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিস্পাপ নবজাতক কেনো নির্মমতার বলি হচ্ছে?
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্বকাপ ফুটবল খেলার সময় পতাকা ওড়ানো নিয়ে ভাবনা