বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার সময় পতাকা ওড়ানো নিয়ে ভাবনা

স্মরণিকা চৌধুরী | রবিবার , ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

পুরো পৃথিবীর মানুষ এখন বিশ্বকাপ জ্বরে কাঁপছে। যারা ফুটবল খেলা তেমন একটা দেখেন না তারা ও তাদের পছন্দ করা দলকে সাপোর্ট করে টিভি স্ক্রিনে অধিক আগ্রহে খেলা দেখায় মশগুল। আমাদের বাংলাদেশ এর লোকেরা কিন্তু ফুটবল প্রেমিক বলা যায়। বিশ্বকাপ খেলা শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকে শুরু হয়ে যায় ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা পক্ষ নিয়ে হৈ হুল্লোড়। তাতে অবশ্য কোনও সমস্যা হয় না যদি হাতাহাতি পর্যায়ে না যায়। বরং দু পক্ষ বেশ রসিকতা করেই ঘায়েল করার চেষ্টায় থাকে। ব্রাজিল আর্জেন্টিনা পক্ষ নেওয়া ছাড়া ও কেউ কেউ অন্য দল সাপোর্ট করে থাকে। তাতেও সমস্যা নেই। সমস্যা মনে হয় তখনই যখন অবিবেচক আম জনতা অন্য দেশের ফ্ল্যাগ বিল্ডিংয়ের ছাদে উড়িয়ে জাহির করতে যায় সে কোন দেশকে সাপোর্ট করছে।

আমাদের বাংলাদেশ ব্যতিত অন্য কোনও দেশ এরকম করে নিজের দেশে অন্য দেশের ফ্ল্যাগ উড়ায় কিনা আমার জানা নেই। আমাদের সরকার ও নিশ্চয়ই এই বিষয়টি সাপোর্ট করে না অন্য দেশের ফ্ল্যাগ বিল্ডিংয়ের ছাদে উড়তে থাকুক। সবখানে আইন করে অনাহুত পরিস্থিতি তৈরি করা সরকার পছন্দ করে না বলে এ যাবৎকাল বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার সময় বাংলাদেশের আনাচে কানাচে অগুনিত বিল্ডিংয়ের ছাদে অন্য দেশের ফ্ল্যাগ উড়তে দেখা যায় বেশ কয়েক মাস ধরে। যত না আগ্রহের সাথে ফ্ল্যাগ উড়ানো হয় খেলা শেষে সেই ফ্ল্যাগ নামিয়ে ফেলার কথা কারো একটা মাথা ব্যাথা থাকে না।

তাই বিভিন্ন দেশের ফ্ল্যাগ উড়িয়ে সাপোর্টাররা গর্বের সাথে তার সাপোর্ট দেখাতে ব্যস্ত থাকে। আমাদের সকলেরও এই বিষয়টি চোখ সওয়া হয়ে গেছে। তাই কেউ কিছু বলার জন্য অগ্রণী ভুমিকা গ্রহণ করে না। এবার কিন্তু আমাদের গুরুত্বপূর্ণভাবে মনে রাখার দরকার ডিসেম্বর মাস হচ্ছে বিজয়ের মাস। ত্রিশ লক্ষ লোকের আত্মত্যাগে যে লাল সবুজের পতাকাটি আমরা অর্জন করেছি সেই পতাকা ব্যতিত অন্য দেশের পতাকার ঝাণ্ডা কোনও বিল্ডিং কিংবা যে কোনও স্থানে উড়তে দেখা শোভা পায় না।

এতে বীর শহীদের অবমাননা করা হয়। আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশের পতাকাকে অপমান করা হয়। তাই চলুন সবাই আমরা দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে আমার দেশের লাল সবুজের পতাকাটি উড়িয়ে শ্রদ্ধা জানাই বীর বাঙালিদের। নামিয়ে ফেলি অন্য দেশের পতাকা এবং বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা মনের আনন্দে সাপোর্ট করি পতাকা বিহীন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকন্যা সন্তানের অভিভাবক সবচেয়ে বেশি ত্যাগী
পরবর্তী নিবন্ধপ্রধানমন্ত্রীর আগমন এবং চট্টগ্রামবাসীর প্রত্যাশা