ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ at ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চির ভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীনসার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এ অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে পঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রণীত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। এ দিন থেকে স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা ও স্বদেশ ভূমি থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ও নির্দেশিত পথে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে স্বাধীনসার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়।

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে, প্রিন্ট মিডিয়াসমূহ বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করছে। চট্টগ্রামেও এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

মহানগর আওয়ামী লীগ : মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে সকাল ১০টায় নগরীর থিয়েটার ইনিস্টিটিউট চট্টগ্রাম মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মকর্তা, থানা, ওয়ার্ড, ও ইউনিট আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার জন্য সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন অনুরোধ জানিয়েছেন।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ : ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন উপলক্ষ্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা আজ বিকেল ৪টায় সংগঠনের আন্দরকিল্লাস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার জন্য দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান অনুরোধ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর তৎকালীন পাকিস্তানের শাসকচক্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বেআইনিভাবে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ১৯৭১’র ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ন্যায়নীতি বর্হিভূত এবং গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওয়ারলেসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার মুক্তাঞ্চলে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এক বিশেষ অধিবেশনে মিলিত হন এবং স্বাধীনসার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন। এই অধিবেশনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন ও বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এবং এ.এইচ.এম কামারুজাজামানকে স্বরাষ্ট্র এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়ে গঠিত হয় বাংলাদেশ সরকার। মেহেরপুর হয়ে ওঠে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অনেকেই অংশ নেবেন : কাদের
পরবর্তী নিবন্ধএই গরমে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখবেন কীভাবে