এশিয়া কাপের আলোচনায় আবার বাংলাদেশের নাম

স্পোর্টস ডেস্ক | বৃহস্পতিবার , ১৪ জুলাই, ২০২২ at ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

শ্রীলংকায় রাজনৈতিক সংকট আবারও বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি অরও কঠিন হলে মাস দেড়েক পর এশিয়া কাপের মতো একটি বড় টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার পরিস্থিতি দেশটিতে থাকবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আর এই প্রশ্নে বিকল্প হিসেবে আবারও উঠে আসছে বাংলাদেশে নাম। গত মে মাসে শ্রীলংকার অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখন বেশিই খারাপ ছিল তখন এশিয়া কাপের বিকল্প ভেন্যু হিসেবে বাংলাদেশের নাম উঠছিল। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, যদি ভেন্যু পরিবর্তিত হয় অবশ্যই ভেন্যু হিসেবে প্রথম পছন্দ থাকবে বাংলাদেশ। যদি বিকল্প কোনো ভেন্যু হয় তাহলে এশিয়া কাপ বাংলাদেশই হবে। পরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে। যাতে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল সিরিজ খেলে এলো শ্রীলংকা থেকে। এই মুহূর্তে পাকিস্তান ক্রিকেট দল শ্রীলংকা সফর করছে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে দ্বীপদেশটিতে আবারও রাজনৈতিক সংকট বাড়তে শুরু করেছে।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে গণআন্দোলন চলছে। আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে পড়েছে। আন্দোলনের মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। তারপর দেশজুড়ে জরুরী অবস্থা চলছে। সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতি আরও কঠিন হলে এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট সেখানে আয়োজন হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। আর এই প্রশ্নেই ঘুরেফিরে আসছে বাংলাদেশের নাম। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এশিয়া কাপ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত থাকতে ইতোমধ্যেই বিসিবিকে বার্তা দিয়েছেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। যদিও বিসিবি বলছে, তারা কিছু জানি না। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, মূলত এসিসি থেকেই এশিয়া কাপের সিদ্ধান্ত আসবে। এখন পর্যন্ত যা জানি শ্রীলঙ্কাই আয়োজন করছে। ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া শ্রীলঙ্কা সফর করেছে। আমরা আশা করছি নির্ধারিত সময়েই এশিয়া কাপ হবে। বাংলাদেশের সাথে ভারত-পাকিস্তানের মত হাই প্রোফাইল দলগুলোও যাবে। তাই আমাদের চেয়ে এসিসিই এটা নিয়ে বেশি ভাবছে। আশা করি বিষয়টা তারা সেভাবেই সামাল দিবে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শ্রীলংকার পরিস্থিতি এমন থাকলে বা আরও কঠিন হলে ভারতীয় ক্রিকেটাররা হয়তো সেখানে খেলতে আপত্তি তুলবেন। এসিসিও নিশ্চয় ভারতকে ছাড়া এশিয়া কাপ আয়োজন করতে চাইবে না। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশই বিকল্প আয়োজক হিসেবে এগিয়ে। কারণ পাকিস্তান আয়োজক হলে সেখানে খেলতে যাওয়ার কথা নয় ভারতের। ২০২০ সালে আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল এবারের ১৫তম এশিয়া কাপ। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালে পিছিয়ে দেওয়া হলে পিছিয়ে যাওয়া সময়েও আয়োজিত হয়নি এশিয়া কাপ। অবশেষে ২০২২ সালে এসে হচ্ছে। তবে শুরুর আগে ভেন্যু নিয়ে উঠছে বিভিন্ন প্রশ্ন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআরো চারটি দেশের সাথে প্রীতি ম্যাচ খেলতে চায় বাফুফে
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ২২.৪২ কোটি টাকা