এবার চাঁদের কাছ থেকে নজরদারি করবে আমেরিকা

| রবিবার , ৬ মার্চ, ২০২২ at ৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ

ইউক্রেনে রুশ হানাদারিতে কি কোনও অশনিসঙ্কেত পেতে শুরু করেছে আমেরিকা? শুধুই পৃথিবীর কাছের কক্ষপথ থেকে কি নিজের দেশের নিরাপত্তার উপর নজর রাখাটা আর যথেষ্ট নয় বলে মনে করছে আমেরিকার সেনাবাহিনী? তাই কি চাইছে নজরদারির ক্ষেত্রটাকে বাড়িয়ে চাঁদের কাছাকাছি নিয়ে যেতে?
আমেরিকার বিমানবাহিনীর একটি ভিডিয়ো-বিবৃতিতে এই প্রশ্নগুলিই জোরালো হয়ে উঠল। জানানো হল, এবার চাঁদের আরও কাছাকাছি এলাকা (মহাকাশ বিজ্ঞানের পরিভাষায়, ‘সিসলুনার অরবিট’) থেকে দেশের উপর (পড়ুন, অন্যান্য দেশের উপরেও!) নজরদারি চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যাতে পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা অন্যান্য দেশের উপগ্রহগুলি আমেরিকার উপর কীভাবে কতটা নজর রাখছে, তারও হালহদিশ পাওয়া যায়। সেই নজরদারির দায়িত্বে থাকবে আমেরিকার সেনাবাহিনীর নবগঠিত শাখা ‘স্পেস ফোর্স’। তাঁর শাসনকালের শেষের দিকে যে স্পেস ফোর্স গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছিলেন আমেরিকার পূর্বতন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আমেরিকার বিমানবাহিনীর এয়ারফোর্স রিসার্চ ল্যাবরেটরির (এএফআরএল) এর ওই ভিডিয়ো বার্তায় বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত নজরদারির কাজ আমেরিকার সেনাবাহিনী চালায় ভূপৃষ্ঠের উপরে ২২ হাজার মাইল (বা ৩৫ হাজার কিলোমিটার) পর্যন্ত। যেখানে থাকে সব দেশেরই জিওস্টেশনারি উপগ্রহগুলি। এবার তা অতীতের বিষয় হতে চলেছে আমেরিকায়। এবার মহাকাশ থেকে নজরদারির পাল্লা ১০ গুণ বাড়ানো হচ্ছে। যাতে অন্তত এক হাজার গুণ বেশি দূরত্ব পর্যন্ত আমেরিকার সেনাবাহিনীর নজরদারি পৌঁছে যেতে পারে। চাঁদ পর্যন্ত।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোয়েন্দাগিরির জন্য আমেরিকাসহ বহু দেশেরই সামরিক গোয়েন্দা উপগ্রহগুলি এখন মূলত রয়েছে রয়েছে পৃথিবীর জিওস্টেশনারি অরবিটে। যাকে জিওসিনক্রোনাস অরবিটও বলা যায়। বিষুবরেখার উপরে ৩৫ হাজার ৭৮৫ কিলোমিটার (বা, ২২ হাজার ২৩৬ মাইল) দূরত্বে। পৃথিবীর অন্দরের কেন্দ্র থেকে যার দূরত্ব সর্বাধিক ৪২ হাজার ১৬৪ কিলোমিটার। পৃথিবীর নিজের কক্ষপথে লাট্টুর মতো ঘোরার জন্য যে সময় লাগে (প্রায় ২৪ ঘণ্টা), জিওস্টেশনারি অরবিটে থাকা উপগ্রহগুলিও ঠিক সেই সময়ই নেয় পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে। তার ফলে, পৃথিবী থেকে ওই কক্ষপথে থাকা উপগ্রহ বা মহাকাশযানগুলিকে স্থির মনে হয়। তবে জিওসিনক্রোনাস অরবিটে থাকলে উপগ্রহ বা মহাকাশযানগুলি যে কোনও কোণেই ঝুঁকে থাকতে পারে পৃথিবীর দিকে। তার ফলে, পৃথিবী থেকে তাদের স্থির মনে হয় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু অনূর্ধ্ব-১৮ বালক জাতীয় বাস্কেটবলের ফাইনালে চট্টগ্রাম-বিকেএসপি
পরবর্তী নিবন্ধইউক্রেনের জন্য লড়াইয়ে এই তরুণীর ‘অস্ত্র’ টিকটক