মাগুরার শ্রীপুরে নানাবাড়ি থেকে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ; একই দিনে জেলা সদরের পুলিশ ব্যারাকের ছাদ থেকে এক কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যারাকে আত্মহত্যা করা কনস্টেবল মাহামুদুল হাসান গলায় ফাঁস নেওয়া খুলনা মহানগর পুলিশের এডিসি লাবনী আক্তারের দেহরক্ষী ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রাম থেকে ৩৬ বছর বয়সী লাবনীর লাশ উদ্ধার করা হয়; কাছাকাছি সময়ে মাগুরা সদরে ব্যারাকের ছাদে পাওয়া যায় ২৫ বছর বয়সী মাহামুদুলের গুলিবিদ্ধ লাশ।
শ্রীপুর উপজেলার বড়ালিদাহ গ্রামের শফিকুল আজমের মেয়ে লাবনী খুলনা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার। সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানাবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তার গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ পাওয়া যায়। পরে কনস্টেবল মাহামুদুলের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় মাগুরা শহরে পুলিশ লাইন্স ব্যারাকের চার তলার ছাদে। তিনি সরকারি রাইফেল দিয়ে নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন বলে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা সদরের এজাজুল হকের ছেলে মাহমুদুল আগে ছিলেন খুলনা মহানগর পুলিশে। দেড় মাস আগে তিনি বদলি হয়ে মাগুরায় আসেন। খবর বিডিনিউজের।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, মাহমুদুল খুলনায় এডিসি লাবনী আক্তারের দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। একই দিনে তাদের লাশ উদ্ধারের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, দুজনেই আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে কোনো যোগসূত্র আমাদের জানা নেই।
লাবনীর শ্বশুরবাড়ি ফরিদপুর শহরে। তার স্বামী তারেক আবদুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সহকারী পরিচালক (এডি)। তারেক চিকিৎসার জন্য ভারতে রয়েছেন বলে লাবনীর দুলাভাই হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন। এদিকে লাবনীর বাবা শফিকুল আজমের ভাষ্য, স্বামীর সঙ্গে কলহের জেরে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে স্বামীর সঙ্গে কি নিয়ে সমস্যা ছিল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য তার কাছে মেলেনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল জানান, দুজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।