একুশের বিসর্জনে গৌরবোজ্জ্বল অর্জন

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | মঙ্গলবার , ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৯:০১ পূর্বাহ্ণ

দেশসহ বিশ্ববাসী সম্যক অবগত আছেন; দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট পাকিস্তান নামক ভঙ্গুর এক সামরিকসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র জন্ম নিয়েছিল। স্বল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাকে মাতৃভাষা মর্যাদাদানের দাবি উত্থাপনের মাধ্যমে এর খন্ডিত কাঠামোর স্বরূপ উম্মোচিত হয়। মুক্তির মহানায়ক স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে এই সম্পর্কে অনবদ্য ভাষায় বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন।

 

১৯৪৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান আইন সভার সদস্য কুমিল্লার বাবু ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত কর্তৃক উত্থাপিত বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতির জোরালো কন্ঠ ধর্মের মোড়কে পাকিস্তান সৃষ্টির অযৌক্তিকতাকেই সুস্পষ্ট করেছে। পাকিস্তানের তৎকালীন মোট জনসংখ্যার শতকার ৫৬ ভাগ মানুষের মাতৃভাষা বাংলাকে অবজ্ঞা করার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রতিবাদআন্দোলনসংগ্রাম শুধু ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিকে মহিমান্বিত করেনি, দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল পটভূমিও রচনা করেছে।

বাঙালি জাতির মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে বিশাল আত্মত্যাগের মহিমা বাঙালি জাতির জন্য শুধু গৌরবগাঁথা নয়, এটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে গ্রহণ করে সমগ্র বিশ্ব আজ গৌরবদীপ্ত হয়েছে। খ্যাতিমান ভাষাবিজ্ঞানী ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র মতে ৬৫০ খ্রীষ্টাব্দে এর প্রকাশ

কালকে যদি চিহ্নিত করা হয়, তাহলে এই ভাষার সমৃদ্ধির ইতিহাস প্রায় চৌদ্দশত বৎসর। বাঙালি জাতির জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ, বিকাশ ও প্রসারে এই মাতৃভাষার অবদান শুধু ঐতিহ্য বা কৃষ্টিমন্ডিত নয়, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জাতিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই ভাষার অবদান এক অসাধারণ চেতনায় বিশেষ

বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। সার্বভৌমমুক্ত মাতৃভূমি প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ সংগ্রামের পথপরিক্রমায় ঋদ্ধ প্রাণশক্তিতে পরিপুষ্ট হয়ে মাতৃভাষা বাংলা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের শক্ত ভীত হিসেবে বিবেচিত। একুশের চেতনায় ভাস্মর মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক নীতিসমূহ তথা সংবিধানসম্মত জাতিসত্ত্বার প্রধান চার স্তম্ভ জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রকে জাতি তাদের সামগ্রিক আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির সনদ হিসেবে গ্রহণ করেছে।

 

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। বিশ্বজনীন এই সত্যেকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে মানব সম্পদ উন্নয়নের যে সাবলীল পদযাত্রা, শিক্ষা সেখানে প্রধান নির্ঘন্ট হিসেবে চিহ্নিত। এটি শুধু একক রাষ্ট্র বা জাতির উন্নয়ন সূচক হিসেবে নয়, বিশ্বায়নের বর্তমান প্রয়োজনীয়তায় এটি প্রধান নিয়ামক হিসেবে সর্বত্রই গৃহীত। এটি

সর্বজনবিদিত, যে জাতি যত বেশি শিক্ষায় উন্নত হতে পেরেছে বর্তমান বিশ্বে সে জাতিই সমধিক উন্নত রাষ্ট্র বা জাতি হিসেবে সমাদৃত। আর্থসামাজিক উন্নয়নের সাথে শিক্ষা বিশেষ করে মাতৃভাষায় শিক্ষার নিবিড় সম্পর্ক বিশ্বের জাপানচীনফ্রান্সসহ শীর্ষ প্রাগ্রসর জাতিসমূহে বলিষ্ঠভাবে স্বাক্ষর রেখেছে। প্রতি

বৎসর একুশের আগমনে আমরা মাতৃভাষার প্রতি আবেগতাড়িত হই এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে এর নির্যাস উপলব্ধি করার চেষ্টা করি কিন্তু তার রেশ বেশিদিন বিরাজমান থাকে না; আমাদের অভিজ্ঞতা তারই সাক্ষ্য বহন করে।

আমাদের সকলের জানা, ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে প্রস্তাবি উত্থাপিত হলে ১৮৮ টি দেশ সমর্থন জ্ঞাপন করেন। ফলশ্রুতিতে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্যদেশসমূহে

যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে প্রতিবছর একুশে ফ্রেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন লাভ করে। মাতৃভাষা বাংলাকে প্রায়োগিক অর্থে যথাযথ মূল্যায়ণ না

করে এবং সর্বত্র এর বিকাশমানতাকে অগ্রাধিকার না দিয়ে শুধুমাত্র একুশে ফেব্রুয়ারি অথবা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে আমাদের তৎপরতা কোনভাবেই জাতির সামষ্টিক উন্নয়নে কোন ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে না। মাতৃভাষার মাধ্যমে সকল স্তরে এবং সকল জনপদে শিক্ষাকে যদি কার্যকরভাবে

জনপ্রিয় করা না যায় তাহলে শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং এর প্রাসঙ্গিক উন্নয়ন নিয়ামকসমূহের তুলনামূলক প্রবৃদ্ধি কোনভাবেই সম্ভব নয়।

শিক্ষার হার উন্নীতকরণ, জীবনমান উন্নয়ন, আপামর জনগোষ্ঠীর সকলকে একীভূত শিক্ষা প্রণোদনার সুদূরপ্রসারী ধ্যান ধারণা থেকেই বর্তমান সরকার বছরের প্রথম দিন ধর্মবর্ণজাতিগোষ্ঠীনারীপুরুষঅঞ্চল নির্বিশেষে যুগান্তকারী বিনামূল্যে বই বিতরণ বিশ্বপরিমন্ডলে একটি অনন্য উপমা। শিশুকিশোরদের মধ্যে

বই বিতরণ উৎসব শুধু অনুপ্রেরণাউদ্দীপনার সঞ্চারক নয়; দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে পর্যাপ্ত জ্ঞানশিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করার অভিনব পন্থা হিসেবেও বিবেচ্য। ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। ২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক ফলাফল প্রতিবেদন

অনুসারে দেশে বর্তমানে সাত বছর ও তদুর্ধ্ব সাক্ষর মানুষের সংখ্যা ১২ কোটি ৩৩ লাখ ৭ হাজার ৮২৪ জন। ২০১১ সালে যা ছিল ৭ কোটি ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ৪২১ জন। ১১ বছরে দেশে সাক্ষর মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ৪ কোটি ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার। ২০১১ সালে দেশে সাক্ষরতার হার ছিল ৫১ দশমিক ৭৭

শতাংশ যা ২০২২ সালে ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশে পৌঁছেছে। সে অনুযায়ী সাক্ষরতার হার বেড়েছে ২২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। উক্ত প্রতিবেদন মতে জাতীয়ভাবে সাক্ষর পুরুষ ও নারীর হার যথাক্রমে ৭৬ দশমিক ৫৬ ও ৭২ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং গ্রামে এই হার যথাক্রমে ৭৩ দশমিক ২৯ ও ৬৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও একুশের অবিনাশী চেতনার আচ্ছাদনে পরিপূর্ণ পরিশুদ্ধ বর্তমান সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেশকে অদম্য অগ্রগতিতে এগিয়ে নিয়ে বিশ্বপরিমন্ডলে অনন্য উচ্চতায় সমাসীন করেছেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ইতিমধ্যে

করোনা যুদ্ধজয়ের আপতিক গৌরবগাঁথায় দেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। চলমান বৈশ্বিক মহামন্দা অতিক্রান্তে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি সচলতায় বিভিন্ন কার্যকরসময়োপযোগী পদক্ষেপ যুগান্তকারী দৃষ্টান্তের অনবদ্য রূপ পরিগ্রহ করেছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ৫০ বৎসরের অধিক অগ্রযাত্রায়

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কর্মযজ্ঞকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে প্রায় সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন পরিক্রমা তথা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নের রোড়ম্যাপে অগ্রসরমান শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, লিঙ্গ সমতা, দরিদ্রতার হার হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, শ্রমঘন রপ্তানিমূখী

শিল্পায়ন, বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও রাজস্ব উন্নয়ন, পোশাক ও ঔষধ শিল্পকে রপ্তানিমুখীকরণ ইত্যাদি আজ দেশের সামগ্রিক মানচিত্রে বিস্ময়কর অভিধায় সমুজ্জ্বল। অন্যদিকে ভৌত অবকাঠামো, যাতায়াত ব্যবস্থা ইত্যাদিকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানী

ইত্যাদির সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, পদ্মাসেতু, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীরসমুদ্র বন্দর, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ, পরিকল্পিত নগরায়ন ও জলাবদ্ধতা নিরসন, সুপেয়ব্যবহার যোগ্য পানি প্রকল্প ও সুয়ারেজ প্রকল্পের বাস্তবায়নসহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট১ উৎক্ষেপণের মত সফলতাসক্ষমতা অর্জন সমাহারে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে স্বীকৃত।

আমদানিরপ্তানি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বন্দরের সক্ষমতা অর্জনে বর্তমান সরকার কনটেইনার টার্মিনাল, গভীর সমুদ্র বন্দর, বেটার্মিনাল নির্মাণ করেছে। কৃষির আধুনিকায়ন, নতুন নতুন উদ্ভাবন এবং সার উৎপাদনআমদানিতে সরকারি ভর্তুকি দেওয়ার ফলে দেশ কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। বিশ্বে

ধান, সবজি ও মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ যথাক্রমে তৃতীয় ও ১ম অবস্থানে রয়েছে। বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে চার বার সারের দাম কমানো, ১০ টাকার বিনিময়ে ব্যাংক হিসাব খোলা, সেচের পানির ভর্তুকির টাকা সরাসরি কৃষকের ব্যাংক হিসাবে জমাদান ও ১ কোটি ৮২ লাখ কৃষককের মাঝে উপকরণ সহায়তা

কার্ড বিতরণের মতো সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে কৃষিতে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। শিল্পায়নের অপরিহার্য উপাদান বিদ্যুৎগ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ বৃদ্ধিতে সরকারের সবিশেষ প্রাধান্য আরোপের বদান্যতায় বিরাজিত জ্বালানি সঙ্কটের পূর্বে ২৫ হাজার ২৩৫ মেঘাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে

সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনা দেশগুলোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রামপাল, পায়রা, বাঁশখালী ও মাতারবাড়িতে আরও ৭ হাজার ৮০০ মেঘাওয়াট এবং ২ হাজার ৪০০ মেঘাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুর

পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হচ্ছে।

জাতীয় স্বাস্থ্যনীতির প্রণয়ন বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জন। বর্তমানে প্রায় ১৮ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশব্যাপী বিস্তৃত স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। উপজেলা ও জেলাপর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সুযোগসুবিধা বাড়ানো হয়েছে। হৃদরোগ, কিডনি,

লিভার, ক্যান্সার, নিউরো, চক্ষু, বার্ণ, নাককানগলাসহ বিশেষায়িত ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় নূন্যতম একটি করে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সব হাসপাতালে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা

হয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্যখাতসহ সামাজিক খাতসমূহে অধিক বিনিয়োগের অপরিহার্যতায় সরকার সংশ্লিষ্ট খাতে বাজেট বরাদ্দ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করেছে। দেশীবিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে

কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ ও এলিভেটেড এক্সপ্রেস নির্মাণসহ দেশের প্রতিটি জেলাউপজেলায় পর্যায়ক্রমে ৫৬০টি মডেল মসজিদ কাম ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া ভূমিগৃহহীন অসচ্ছল জনগোষ্ঠীর জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারে জন্য বীর নিবাস নির্মাণ ও

ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধাদি বৃদ্ধি, সামাজিক খাতে অভূতপূর্ব প্রণোদনা সামগ্রিক অর্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ‘দেশে কোন দুর্ভিক্ষ হবে না’ প্রত্যয়ে ব্রতী হয়ে পুরো দেশ এখন অসামান্য কর্ম উদ্যোগী। মহান একুশের ‘মাথা নত না করা’র অঙ্গীকার জনমনে একনিষ্ঠভাবে প্রোথিত ও এর ইতিবাচক প্রভাব

সরকারের পররাষ্ট্রনীতিসহ সকল ক্ষেত্রেই কার্যকরভাবে দৃশ্যমান। জাতিদেশবাসীর সকল সুখদুঃখের সমন্বয়ে অন্ধকারের অশুভ শক্তিকে পরাভূত করে কূটচক্রচক্রান্তষড়যন্ত্র নিধনে লালসবুজ পতাকাকে উড্ডীন রাখার শপথে একনিষ্ঠ বলীয়ান দেশের আপামর জনগোষ্ঠী একুশের চেতনাকে অপরাজিত রাখবেই দৃঢ়চিত্তে এটুকু প্রত্যাশা অত্যন্ত যৌক্তিক।

লেখক: শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচিরায়ত বাংলার শাশ্বত চেতনা ও অমর একুশ
পরবর্তী নিবন্ধবায়ান্নের ২১শে ফেব্রুয়ারির স্মৃতি