উপলব্ধি আমার রাজনৈতিক পথচলা জীবন থেকে

জিল্লুর রহমান | শনিবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৮:২৩ পূর্বাহ্ণ

পৃথিবীর সবচেয়ে রাজনীতি পাগল জনগোষ্ঠীর জন্ম ভারত উপমহাদেশে আর ১৯৮০ সালের পরে বাংলাদেশে। এই দেশে প্রতি শিশু জন্ম নেবার পর থেকে রাজনীতির সমর্থন নিয়ে জন্ম নেয় এমনকি যে কোন সমর্থন নেই বলে তারও একটা সমর্থন থাকে সেটা প্রকাশ পাবে যখন কোন আড্ডায় বসে। অথচ জীবনের ক্ষণস্থায়ী সময়ে বাংলাদেশে রাজনীতিতে লাভবান হতে পারে মোট জনগোষ্ঠীর হয়ত ১% এর মত আর বাকি ৯৯% শুধু এর ওর পেছনে লেজুড় ভিত্তি করে নিজেকে নেতা বা কর্মী বা সমর্থক মনে করে অথচ প্রত্যেক মানুষকে জীবনে এক দীর্ঘ সময় একা সংগ্রাম করতে হয় তার পরিবারের জন্য, একটু সুখস্বাছন্দে থাকতে। নিজের জীবনের সুখী করতে সে কখনো তার সমর্থন দেয়া রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে বিন্দুমাত্র সুবিধা পান না আর যৌবনের শেষ সময়ে এসে হতাশ হয়ে বলে দল তো আমাকে কিছুই দিলনা অথচ কেউ তাকে জোর করেনি যে দল কর। আমাদের যুব সমাজ বিশেষ করে যাদের বয়স ১৮-৩০ তারা যদি অনুধাবন করে যে তাদের পরিবার এবং তাদের ভবিষ্যৎ পুরোই একটি সংগ্রামী জীবন দিয়ে পার হতে হবে তারা নিজ নিজ পরিবারকে একটা রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে ভাবলে ওখানে প্রত্যেক মানুষই একসময় সভাপতি আর একসময় উপদেষ্টা হবার সুযোগ থাকে। যেমন পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি দলের প্রেসিডন্ট আর তার মা বাবা উপদেষ্টা, স্ত্রী হলেন মহাসচিব আর সন্তান, ভাই বোন এরা দলের সম্পাদক আর আত্মীয়স্বজন হলো দলের সদস্য। এটাই তো উত্তম সকলের জন্য। প্রত্যেক মানুষেরই জীবনে সংগ্রাম করা উচিত এবং তা একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচনায় নিয়েই। তবে সফল হবার সম্ভোবনা বেশি। কারণ, দলে একটা পদের জন্য যত নেতার বাড়িতে জুতার ক্ষয় করতে হয় সেই সময়টা জীবনের প্রতিষ্ঠায় লাগাতে পারলে নিজের পারিবারিক দলটা অনেক শক্তিশালী হয়। পরিবারকে ভালবাসা আর দায়িত্বশীল অভিভাবক হবার চেষ্টা করা জীবনের বড় সংগ্রাম আর এই সংগ্রামও সফল যারা তাঁরাই সবচেয়ে বড় নেতা। কারণ আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোতে নেতৃত্ব এখন আর যোগ্যতায় হয় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকুশের চেতনা ও আমাদের করণীয়
পরবর্তী নিবন্ধবর্ণমালা