উচ্চারকের ২০ বছর পূর্তি লোকায়ত আবৃত্তি উৎসব

লোককবিদের সৃষ্টি বাঙালিকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে : অনুপম সেন

| শনিবার , ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ

সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন বলেছেন, বাঙালির যে ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি এবং এই সংস্কৃতির যে একটি শক্তপোক্ত ভিত রয়েছে তা অনেকেরই অজানা। বাংলা সাহিত্য ও কবিতার ভিত্তিমূল অনেক পুরনো। বাঙালির সহস্রাধিক বছরের ইতিহাসে এ মাটি থেকে জন্ম নিয়েছে অনেক শক্তিশালী কবিসাহিত্যিক, লোককবি ও গীতিকবি। যাঁদের কবিতা ও গান বাঙালিকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে। কিন্তু তাঁদের অনেকের কবিতা ও সাহিত্যকর্ম আজ আমরা ভুলতে বসেছি। চর্চার সংকটের কারণে আজ আমরা আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সেভাবে লালন করছি না। লালন করছি না আমাদের লোকসাহিত্যের বিপুলায়তন সম্ভারকে। তাই উচ্চারক সেই লোকসাহিত্যের দিকে দৃষ্টি দিয়ে একটি জাতীয় ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছে।

গতকাল শুক্রবার সকালে নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আবৃত্তি ও বাচিক চর্চার সংগঠন উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত দুই দিনের লোকায়ত আবৃত্তি উৎসবের প্রথম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. অনুপম সেন এসব কথা বলেন। উচ্চারকের সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী ও সাংবাদিক ফারুক তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, রাজনীতিবিদ ও সংস্কৃতিসেবী মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কবি রেহেনা পারভীন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উচ্চারকের শুভানুধ্যায়ী পরিষদের সদস্য বাউলতাত্ত্বিক স্বপন মজুমদার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ভাষা ও সংস্কৃতি রুগ্ন হয়ে পড়লে রাজনীতিও বিকল হয়ে পড়ে। রাজনীতি ও সংস্কৃতি যদি পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে না চলে, তাহলে দেশ ও জাতির সমূহ বিপদ দেখা দেয়। তাই বর্তমান সরকার বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা ও পরিচর্যার জন্য বিভিন্ন সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছে। আমাদের পুরনো কবিতা ও সাহিত্যসংস্কৃতির দিকেও যত্নবান হতে হবে। অতীতকে গুরুত্ব না দিয়ে কেবল ভবিষ্যতের দিকে ছুটলে হবে না।

উচ্চারকের সহসভাপতি এ এস এম এরফান ও মৌসুমী চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উচ্চারক শুভানুধ্যায়ী সম্মাননা গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি মনুজর কাদের মনজু, নাটক ও তথ্যচিত্র নির্মাতা হিমেল ইসহাক, কবি শহীদ মিয়া বাহার, কবি রেহেনা পারভীন, কবি ও বাউল গবেষক স্বপন মজুমদার, লেখক সজল চৌধুরী, শিল্পোদ্যোক্তা আশেক ইবনে ছাফা ও তানসির তাইমুর মোরশেদ।

উৎসবে দলীয় আবৃত্তি, সিলেটের লোক কবিতা ও গান, ময়মনসিংহের লোক কবিতা, চর্যাপদের গান, একক আবৃত্তি, বাউলগান ও বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে শিল্পীরা।

উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আজ শনিবার বিকাল ৩টায় প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ, এমপি। বিশেষ অতিথি থাকবেন আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের আবৃত্তিশিল্পী সুমন্ত্র সেনগুপ্ত ও অলোক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিল্পকলায় বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী, ১৭৬ চিত্রকর্ম
পরবর্তী নিবন্ধঢাকাকে হারিয়ে শেষ চারে রংপুর