ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থার সুষ্ঠু ব্যবহার চাই

| বুধবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। কুষ্টিয়া এবং ঝিনাইদহ জেলার সীমান্তে অবস্থিত সবুজে ঘেরা এই ক্যাম্পাস। জেলা শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হওয়া এবং শিক্ষার্থীদের পূর্ণ আবাসিকতা না থাকায় এটি এক প্রকার পরিবহন নির্ভর ক্যাম্পাস। প্রতিদিন কুষ্টিয়া এবং ঝিনাইদহ শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব এবং ভাড়া করা বাসে যাতায়াত করে ৫৬ হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী। শিক্ষকদের জন্য আলাদা এসি বাস রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বেশ কিছু বড় বাস এবং দ্বিতল বাস রয়েছে। সবগুলো দ্বিতল বাস শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য দেয়া হলেও অধিকাংশ বড় বাস কর্মকর্তা কর্মচারীদের দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়েছে অল্প কয়েকটা বাস।

বেশিরভাগ শিক্ষার্থী পুরনো, ভাঙা, ফিটনেসবিহীন ভাড়া গাড়িতে যাতায়াত করে। এমনকি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য দেয়া বাসগুলোতে সবসময় উঠতে দেয়া হয় না শিক্ষার্থীদের, কখনোবা কটু কথা শুনতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য। এখানের যাবতীয় সম্পদেও শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার থাকা উচিত। কিন্তু নিজেদের বাসে তারা যাতায়াত করতে পারে না বরং অনেক সময় বাসের ড্রাইভার ও কর্মকর্তাদের দ্বারা নিগৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা ছাত্র সংগঠনগুলোরও মাথা ব্যথা নেই এবিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস শুধু মাত্র শিক্ষার্থীদের দেয়া উচিত। কর্তৃপক্ষের উচিত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া।

সুকান্ত দাস

শিক্ষার্থী,

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুহম্মদ এনামুল হক : পণ্ডিত ও বিদগ্ধ গবেষক
পরবর্তী নিবন্ধহাসপাতালের এক ব্যস্তময় রাতঅভি দাশ