ইভ্যালির সম্পদ বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা

এবার এসি না পাওয়া গ্রাহকের মামলা

| বৃহস্পতিবার , ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ

গ্রাহক ঠকানোর অভিযোগে আলোচিত ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির সম্পদ বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাই কোর্ট। ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে এক গ্রাহকের আবেদনে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ আদেশ দেয়। হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, বিক্রি, হস্তান্তর বা অন্য কোনো উপায়ে ইভ্যালির সম্পদে কেউ হাত দিতে পারবে না।
এদিকে ইভ্যালির বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে ঢাকায়। আদালতে এই মামলাটি করেছেন মুজাহিদুর রহমান নামে এক ব্যক্তি, যিনি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) কিনতে ইভ্যালিতে অর্থ পরিশোধ করেও পণ্যটি পাননি। খবর বিডিনিউজের।
বছর তিনেক আগে অর্ধেক দামে পণ্য বিক্রির ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশের ই-কমার্সের বাজারে আলোড়ন ফেলে দেওয়া কোম্পানি ইভ্যালি এখন বিপুল দেনায় ডুবতে বসেছে। এ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে ইতোমধ্যে গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্পদ হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না, সেই কারণ দর্শানোর নোটিসও দিয়েছে হাই কোর্ট।
ইভ্যালি লিমিটেড, যৌথমূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে এ নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ রেখে ওই সময়ের মধ্যে তাদের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এসি না পাওয়া গ্রাহকের মামলা
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে ঢাকায়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) কিনতে ইভ্যালিতে অর্থ পরিশোধ করেও পণ্যটি না পেয়ে আদালতে এই মামলাটি করেছেন মুজাহিদুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। মামলায় তিনি ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে আসামি করেছেন।
প্রতারণার আরেক মামলায় রাসেল ও শামীমা ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে রয়েছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে মুজাহিদুর রহমান মামলাটি করেন। ওই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান বলেন, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ধানমণ্ডি থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন।
আরজিতে মুজাহিদ বলেন, ইভ্যালিতে ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের দুই টন এসি এবং ২৩ হাজার টাকা মূল্যের একটি কাঠের টি টেবিল অর্ডার করেছিলেন তিনি। গত বছরের ১১ জুলাই এসি বাবদ ৮৫ হাজার এবং ২২ জুলাই টেবিল বাবদ ২৩ হাজার টাকা ইভ্যালিতে পাঠান। পণ্য দুটি ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার প্রতিশ্রুতি ইভ্যালি দিলেও নির্দিষ্ট সময় পরও তা না পেয়ে রাসেলকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছিলেন মুজাহিদুর। এরপর ইভ্যালি টেবিলের জন্য নেওয়া টাকা ফেরত দিলেও এসির টাকা আর ফেরত দেয়নি বলে জানান তিনি।
মুজাহিদুর বলেন, গত ২৫ মে ইভ্যালির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসি ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই এসি তিনি পাননি। আর অর্থও তিনি ফেরত পাননি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিগগিরই আইপি টিভির রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধআধুনিক চট্টগ্রামের জন্য চাই নগর পরিকল্পনা ও তদারকি