‘আমরা তো চাঁদাবাজি করছি না, মেলা উপলক্ষে কিছু ইনকাম করছি’

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

প্রতি বছরের মতো এ বছরও জব্বারের বলীখেলা উপলক্ষে আয়োজিত বৈশাখী মেলাকে ঘিরে সুযোগ সন্ধানী একটি চক্র গত দুদিন ধরে তৎপরতা চালাচ্ছে। এদের মধ্যে আছেন প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ও স্থানীয় বখাটে যুবক। আগেভাগে বসে যাওয়া দোকানিরা বলছেন, নির্দিষ্ট করে কাকে টাকা দেব জানি না। এখন এক গ্রুপকে দিলাম তো ঘণ্টা দুয়েক পরে আরেক গ্রুপ এসে টাকা দাবি করে বসল। নইলে তুলে দেওয়ার হুমকি দেয়। কোতোয়ালী মোড় এলাকার কয়েকজন বিক্রেতা জানান, প্রতি বছর তারা এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হন।

বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা উপলক্ষে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মেলাকে কেন্দ্র করে আয়োজক, ক্রেতা ও বিক্রেতারা যেন হয়রানি বা চাঁদাবাজির শিকার না হন সেদিকে পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা, চাঁদাবাজি সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং মেলা প্রাঙ্গণে পুলিশের ফুট পেট্রোল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছিলেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম ওবায়েদুল হক।

গতকাল সরেজমিনে মেলা ঘুরে ব্যবসায়ীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বিভিন্ন ফুটপাত ও রাস্তায় কয়েকজন যুবক ছোট ছোট ঘর এঁকে নিজেদের নাম লিখে স্থানটি দখলে রাখছিল। এ ধরনের একটি গ্রুপ রং লাগাচ্ছিল জেনারেল হাসপাতালের সামনে। কারণ জানতে চাইলে রফিক নামে এক যুবক হেসে দেয়। বলে, ভাই এটা তো একটা উৎসব। উৎসবে সবকিছুই জায়েজ। আর আমরা তো চাঁদাবাজি করছি না, মেলা উপলক্ষে কিছু ইনকাম করছি।

খেলনা গাড়ি বিক্রেতা নিজাম জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমি মালামাল নিয়ে কোতোয়ালী থানার সামনে ফুটপাতে আসি। মালামাল সাজাতে গেলে প্রথমে ফুটপাতে অবস্থানরত ছিন্নমূল মহিলারা বাধা দেয়। তাদের কিছু দিয়ে শান্ত করে যখন বসতে যাই তখন কয়েকজন যুবক এসে তুলে দেয়।

অনুসন্ধানে রুবেল, সাদ্দাম, আবু, রিগ্যাল, ক্যাশিয়ার জনিসহ বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। বৈশাখী মেলায় এদেরকে টাকা দিয়ে দোকান বসাতে হয়েছে অভিযোগ দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা বিক্রেতাদের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচতুর্থ ধাপে বাঁশখালী ও লোহাগাড়া উপজেলায় ভোট ৫ জুন
পরবর্তী নিবন্ধহরেক পণ্য, বড় মেলা