আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি তিনশ আসনে প্রার্থী দিবে

চট্টগ্রামে মতবিনিময়কালে মুজিবুল হক চুন্নু তত্ত্বাবধায়ক সরকারও নিরপেক্ষ নয়, আনুপাতিক হারে নির্বাচন চাই

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৬ মার্চ, ২০২৩ at ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি তিনশ আসনে প্রার্থী দিবে। আমরা আর কারো ক্ষমতার সিঁড়ি হব না। বর্তমান সরকার চায় যে কোনোভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে। আর বিএনপি চায় যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে। তারা কোন দল জনগণের কথা চিন্তা করে না। কিভাবে লুটপাট করে অর্থ আয় করবে তাই চিন্তা করে। বিএনপি সরকার আমলে দেশ ৪ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এতিমের টাকা পর্যন্ত তারা আত্মসাৎ করেছে। আর সরকারি দল, আমাদের সমর্থন নিয়ে ৩য় বার ক্ষমতায় এসে আজ লুটপাট করে যাচ্ছে। প্রকল্প আর প্রকল্প করে দেশকে দেউলিয়া করে দিয়েছে। গতকাল বিকাল ৫টায় চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

রাঙামাটি জেলা জাতীয় পার্টি সম্মেলন শেষে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ফেরার পথে চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই না। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি বলে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে। খালেদা জিয়া বলেছিলেন পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। এখন সেই বিএনপি আবার নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করছেন। এটা পাগলের প্রলাপ। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা মানি না। কারণ অতীতের তত্ত্বাবধায়ক সরকার জাতীয় পার্টি তথা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সুবিচার করেনি। আমাদের দাবি আনুপাতিক হারে নির্বাচন চাই। কোন প্রার্থী থাকবে না। প্রতীক নিয়ে নির্বাচন চাই। যে দল যত পার্সেন্ট ভোট পাবে সেই দল আনুপাতিক হারে আসন পাবে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।

চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. এয়াকুব হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও মহানগর সহসভাপতি আবু জাফর মাহমুদ কামাল, আবদুল্লাহ মিঞা, মোহাম্মদ আলী, ছগির আহমদ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আবছার উদ্দিন রনি, দপ্তর সম্পাদক ছবির আহমদ, নগর কৃষক পার্টির সভাপতি এনামুল হক বেলাল, নগর যুব সংহতির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কায়সার হামিদ মুন্না, প্রচার সম্পাদক ফজলে হাছান শাহীন, নগর জাপার সহদপ্তর সম্পাদক শফিউল আজম লিটন, রোকেয়া সোলতানা, নজরুল ইসলাম, এম. আজগর আলী, কাজী মুক্তা আক্তার প্রিয়া, সালামত ভূঁইয়া, পারুল আক্তার প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধহজ : বিমান ভাড়া ৪৮ হাজার টাকা কমানোর সুপারিশ