অপার সম্ভাবনার পর্যটন : প্রকৃতির মায়াময় হাতছানি

ফেরদৌস আরা রীনু | বৃহস্পতিবার , ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ


প্রকৃতির বিচিত্র সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই বাংলাদেশ। এদেশের অনুপম সৌন্দর্য কবি হৃদয়ে কাব্যস্রোত বইয়ে দেয় চিরকাল। সাগর এদেশকে রাত দিন পা ধুয়ে দিচ্ছে, নদী তার কটিদেশ ও গলায় মেখলায় ও চন্দ্রহারের মতো শোভা পাচ্ছে, মাঠের শ্যামলিমা তার শরীর জড়িয়ে আছে , সবুজ বনরাজি তাকে রাণির সাজে সাজিয়ে দিচ্ছে। পাহাড় তার মাথার মুকুট হয়ে সৌন্দর্যের বিকাশ ঘটাচ্ছে। কবিতার মতই যেন এই দেশ ছন্দময়। ছন্দে-বর্ণে-গন্ধে সেই রূপ যেন বাংলার প্রতি অঙ্গে ঠিকরে বের হচ্ছে। আর এই নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য, বৈচিত্রপূর্ণ সংস্কৃতি, দৃষ্টিনন্দন জীবনাচরণ বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছে একটি বহুমাত্রিক আকর্ষণ সমৃদ্ধ পর্যটন গন্তব্য হিসেবে। এদেশের সৌন্দর্যে যুগে যুগে ভ্রমণকারীরা মুগ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশ স্বল্প আয়তনের হলেও বিদ্যমান পর্যটন আকর্ষণের বৈচিত্র্যময় পর্যটকদের সহজে টানে। এই করোনাকালে মানুষ মুখোমুখি হয়েছে ভয়াবহ পরিস্থিতির। এখনো লড়াই করে চলছে সেই ভাইরাসের সঙ্গে। বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পরপর মানুষ আবার প্রকৃতির টানে ছুটতে শুরু করেছে।
পর্যটন একটি বহুমাত্রিক এবং শ্রমঘন শিল্প। সবচেয়ে দ্রুত সম্প্রসারণশীল ও বৃহৎ বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড হিসেবে এই শিল্প বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি লাভ করেছে। মানুষ চিরকাল সুন্দরের পূজারী, কৌতূহলী এবং বৈচিত্র্যের প্রত্যাশী। অজানাকে জানার, অচেনাকে চেনার আকাঙ্ক্ষায় মানুষের মন সব সময় উন্মুখ থাকে। অজানাকে জানতে, সুন্দরের হাতছানিকে অবলোকন করতে আবহমান কাল থেকে মানুষ ছুটে চলছে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তরে। মানুষের এই অদম্য উৎসাহ থেকে পর্যটন শিল্পের জন্ম। বাংলাদেশের মানুষের ঘরকুনো বলে বদনাম দীর্ঘদিনের তবে বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন। অনেকে এখন ছুটি পেলেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোথাও না কোথাও বেড়াতে যায়।
অতিথিপরায়ণ ও সম্প্রীতির কারণে আমাদের দেশ প্রায় সকলের কাছে পরিচিত। আর এদিক থেকে চট্টগ্রামের ঐতিহ্য অনন্য। পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো সকল উপকরণ বৃহত্তর চট্টগ্রামের প্রকৃতিতে ছড়িয়ে আছে। সাগর নদী পাহাড় সমভূমি বনাঞ্চল এই পাঁচের সমন্বয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রাম। পৃথিবীতে তেমন আর নেই।
সাগর কন্যা ‘কক্সবাজার’ জেলায় রয়েছে বহু দৃষ্টিনন্দন স্থান। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতটি পৃথিবীর দীর্ঘতম অখণ্ডিত সমুদ্র সৈকত। এর বৈশিষ্ট্য হলো এটি পুরাই বালুকাময়, বালিয়াড়ি। সৈকত সংলগ্ন শামুক, ঝিনুক, নানা প্রজাতির প্রবাল, সমৃদ্ধ বিপণি বিতান, অত্যাধুনিক হোটেল, মোটেল কটেজ, নিত্য নব সাজে সজ্জিত বার্মিজ মার্কেট সমূহে পর্যটকদের বিচরণে কক্সবাজার শহর পর্যটন মৌসুমে প্রাণচাঞ্চল্য থাকে। কক্সবাজার জেলায় মায়াবী ও রূপময়ী সমুদ্র সৈকত ছাড়াও রয়েছে দক্ষিণে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিমছড়ি। হিমছড়ি যাওয়ার পথে বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক ঝর্ণাও রয়েছে। কক্সবাজার শহর থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়কে সমুদ্র আর পাহাড়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া যায় ঝর্ণাধারা প্রবহমান হিমছড়িতে। একই পথে পৌঁছে যাওয়া যায় পাথর আর নীল জলরাশির আঁচল বিছানো ইনানীর সমুদ্র সৈকত। সমুদ্রের গর্জন, পাখির কাকলি আর পাহাড়ি ঝর্ণার ধ্বনির অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটেছে এখানে। কক্সবাজারের উখিয়া থানার জালিয়া পালং ইউনিয়নের পাটুয়া টেক সৈকতের কাছে রয়েছে মগ সম্প্রদায়ের কানাবাজার সুড়ঙ্গ। টেকনাফ থানা প্রাঙ্গণে রয়েছে মাথিনের অতৃপ্ত প্রেমের নীরব সাক্ষী মাথিনের কূপ। এই জেলায় আরো রয়েছে শাহপরীর দ্বীপ। সেন্টমার্টিন, সোনাদিয়া দ্বীপ, কুতুবদিয়া, মহেশখালী। শাহপরীর দ্বীপ সারবং ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম। পূর্বের বিচ্ছিন্ন দ্বীপটি কালক্রমে ভূখণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায়। কবি সা্থবারিদ খাঁর ‘হানিফা ও কয়রাপরী’ কাব্যগ্রন্থের অন্যতম চরিত্রের নাম ‘শাহপরী’। রোখাম রাজ্যের রাণি কয়রাপরীর মেয়ে শাহপরীর নামেই দ্বীপের নামকরণ হয়েছে বলে কথিত আছে।
টেকনাফ থেকে প্রায় আটমাইল দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে প্রবাল দ্বীপটি জিঞ্জিরা, দক্ষিণ পাড়া, গলাছিরা, ও ছেড়াদিয়া এই চারটি দ্বীপ নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ গঠিত। চিরকাঙ্ক্ষিত এই প্রবাল দ্বীপ এবং ছেড়াদিয়ায় নির্জনতায় মানুষ বিমোহিত না হয়ে পারবেনা। এইখানকার মূল আকর্ষণ সামুদ্রিক কাঁকড়া, কাছিম, প্রবাল, মুক্তা আর বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। মহেশখালীতে রয়েছে সমুদ্র পৃষ্ট হতে ২৮৮ ফুট উপরে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত আদিনাথ মন্দির, তার পাশে রয়েছে “অষ্টভূজ” নামে মূর্তি। মহেশখালির দক্ষিণে রয়েছে সোনাদিয়া নামে ছোট্ট বালির দ্বীপ যেটিকে সোনালি দ্বীপও বলা হয়। এটি অতিথি পাখির স্বর্গ রাজ্য। শীতের মৌসুমে হাজার হাজার অতিথি পাখির ভীড় জমে এইখানে। এ দ্বীপ থেকে হাজার হাজার টন শুঁটকি রপ্তানি হয়।
চট্টগ্রাম শহরে ঘুরতে গিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত না দেখলে পুরো ভ্রমণটায় বৃথা। ভারতের মিজোরামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হওয়া কর্ণফুলী নদী পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার কাছে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। এইখানে সন্ধ্যার পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম। এখানে সূর্যাস্তের দৃশ্যমনকে আরো বেশি পুলকিত করে সকল সৌন্দর্য পিপাসু মানুষকে। এইখানে রয়েছে বাংলাদেশের প্রধান বন্দর ‘চট্টগ্রাম বন্দর’।
চট্টগ্রাম শহরের সিটি গেইট থেকে মাত্র বিশমিনিটের দূরত্বে অবস্থিত ভাটিয়ারী পাহাড়ের মাঝে আছে অপূর্ব সুন্দর একটি লেক। সেনাবাহিনীর এলাকার মধ্যে চারিদিকে পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য, উদার বিশাল আকাশ আর পশ্চিমে সমুদ্র নিয়ে এক পরিচ্ছন্ন সুন্দর এলাকাটি মনকে ভরে তোলে নির্মল আনন্দে। বর্ষায় লেকের রূপ কয়েকগুণ বেড়ে যায় এবং তার সাথে বেড়ে যায় চারদিকের প্রকৃতির মাধুর্য। লেকের পানির স্বচ্ছতা, কুসুমিত চারপাশ উপভোগ করে যে কেউ ভুলে যেতে বাধ্য যান্ত্রিক শহরের যত ক্লান্তি।
মনোরম প্রকৃতির আহবান, হ্রদ, পাহাড়, ঝর্ণা, দিগন্তজুড়ে সবুজ, ছায়াঘেরা বন-বনানি কিংবা আঁকাবাঁকা মেঠোপথ ‘কাপ্তাই’-এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কাপ্তাই যেতে যেতে বৃক্ষরাজির চোখ ধাঁধানো সবুজ,কাপ্তাই লেকের মনোরম পরিবেশ,পাহাড়,হেলিপেড,পাহাড়ি সাম্পান,লেকে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, পাহাড়ের কূল ঘেষে রয়েছে নানা প্রজাতির পাখ-পাখালি,বানর এবং কখনো কখনো পাওয়া যায় হাতির পাল।
এইখানে বেড়ানোর জন্য আরো রয়েছে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ, আর্মি পিকনিক স্পট, নেভি লেকভিউ পিকনিক স্পট, জুম রেস্তোরাঁ।
শীতকাল পাহাড়ে বেড়ানোর আদর্শ সময়। শীতকালে রাঙামাটি হাজার পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে। কুয়াশামাখা হিমেল পরিবেশে প্রকৃতি আরো নবীন হয়ে উঠে। দশটি ভাষাভাষির এগারটি জনগোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতির, নৃতাত্ত্বিক কৃষ্টির সংস্পর্শ পেতে হলে পর্বত প্রেমী যেকোন মানুষের জন্য আদর্শ জায়গা রাঙামাটি। পাহাড় পর্বতের নিবিড় নৈকট্য মনে সৃষ্টি হয় এক অনাবিল আনন্দ। শুভলং ঝর্ণা, নয়নাভিরাম বহুরঙা ঝুলন্ত ব্রীজ বিছিন্ন পাহাড়ের সাথে গড়ে মিতালি। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে ঘুমিয়ে থাকে শান্ত হ্রদ। সীমানার ওপাড়ে নীলাকাশ মিতালি করে হ্রদের সাথে, চুমু খায় পাহাড়ের বুকে। রাঙামাটির চারপাশ যেন পটুয়ার পটে আঁকা জলরং এর ছবি।
রাঙামাটিতে প্রচুর বেড়ানোর জায়গায় উপজাতীয় যাদুঘর, পেদা টিং টিং, টুক টুক ইকো ভিলেজ, রাজবন বিহার,চাকমা বিহার, চাকমা রাজবাড়ি, ডিসিবাংলো, আরণ্যক রিসোর্ট, হ্যাপি আইল্যান্ড, রাইন্যা টুগুন ইকো ভ্যালি। তিনশত বছরের অধিক পুরানো চাপালিশ বৃক্ষ।
পাহাড়ের শরীর বেয়ে নেমে আসছে ঝরনা। সেই ঝরনা ধারায় সৃষ্ট সাঙ্গু নদী পাহাড়ের বাঁক বইতে বইতে মিশে সাগর্তে- এই হলো বান্দরবান; যা কেবল বাংলাদেশের প্রকৃতি প্রেমীরা নয় বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটকদের ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ। বর্ষায় বান্দরবানের প্রকৃতি মনোমুগ্ধকর। এইখানে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন জলপ্রপাত যেটি শৈলপ্রপাত নামে পরিচিত। বাংলাদেশের সর্বোচ্চতম জায়গা এইখানে অবস্থিত। এখানে রয়েছে পার্বত্য অঞ্চলের বিখ্যাত দৃষ্টি নন্দন “স্বর্ণমন্দির”, বাঁধ দিয়ে তৈরি কৃত্রিম লেক “মেঘলা”। মেঘলায় রয়েছে শিশু পার্ক এবং চিড়িয়াখানা। এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ শহর থেকে পূর্ব দক্ষিণে অবস্থিত নীলগিরি রিসোর্ট, যেখান থেকে আকাশের মেঘকে হাতের নাগালে পেয়ে ছুঁয়ে মনকে পুলকিত করা যায়। বাংলাদেশের দার্জিলিং খ্যাত “নীলাচল” এখানকার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম। এখানে আরো রয়েছে মিলন ছড়ি, প্রান্তিক লেক, তাজিং ডং, কেওক্রাডং, বগালেক। আরো রয়েছে কয়েকটি ঝিরি যেম্ন চিংড়ি ঝিরি, পাতা ঝিরি, বূমানা পাড়া ঝিরি।
বাংলাদেশের সুন্দরতম দর্শনীয় স্থানগুলোরর মধ্যে একটি হচ্ছে “সাজেক ভ্যালি”। মূলত রাঙামাটিতে অবস্থিত হলেও যেতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে। নৈসর্গিক লীলাভূমি সাজেক ভ্যালি। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন, যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল। এইখানে সাজেক বিজিবি ক্যাম্প অবস্থিত। রাঙামাটির অনেকটা অংশ দেখা যায় সাজেক ভ্যালি থেকে। তাই সাজেককে বলা হয় “রাঙামাটির ছাদ”। এটির সর্বত্র মেঘ, পাহাড়, আর সবুজের দারুণ মিতালি। এখান থেকে সুর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়। এখানে একদিনে তিনরকমের আবহাওয়ার দেখা মিলে। কখনো খুব গরম, পরক্ষণে বৃষ্টি আবার একটু পর হয়ত সারা আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। এটিকে মেঘের উপত্যকাও বলা হয়।
চট্টগ্রাম শহরে কর্ণফুলী থানার নদীর তীরে রয়েছে অভয় মিত্র ঘাট। মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ ও খোলামেলা জায়গা হওয়ায় স্থানটি ধীরে ধীরে পর্যটকের কাছে বিনোদনের স্থান হয়ে উঠেছে। একটু স্বস্তির পরশ পেতে এখানে ছুটে আসে মানুষ। সামনে কর্ণফুলীনদী, সারি সারি জাহাজ,যার আরেক পাশে রয়েছে নির্মাণশৈলী শাহ আমানত সেতু।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার মধ্যস্থলে বঙ্গোপসাগরের উপকূল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ‘পার্কির চর’ নামে খ্যাত দৃষ্টিনন্দন পার্কি সমুদ্র সৈকত। এটি কর্ণফুলীনদীর মোহনায় অবস্থিত। পার্কি যাওয়ার পথে সরু রাস্তা, সারি সারি গাছ, কাফকো সারকারখানা আর মাছের ঘের দেখা যায়।
বর্তমান বিশ্ব ও দেশীয় প্রেক্ষাপটে পর্যটনকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। পর্যটন শিল্পের বিকাশে বিশ্বে দেশের প্রচার বৃদ্ধি পায়, ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর হয় এবং আনুষঙ্গিক অনেক ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এছাড়া দেশের মানুষের মধ্যে পর্যটন উদ্বুদ্ধ করলে তাদের মেধা ও মনন বিকাশে সহায়ক হবে। দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারলে মানুষ দেশ প্রেমিক হিসেবে গড়ে উঠবে। আমাদের দেশের জাতীয় ভাবমূর্তি ও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পর্যটন পালন করতে পারে এক বিরাট ভূমিকা। তাই পর্যটকদের জন্য পর্যটন এলাকাগুলো নিরাপদ রাখ দেশের প্রতিটি মানুষের নাগরিক দায়িত্ব।
লেখক : প্রাবন্ধিক ও শিক্ষক

পূর্ববর্তী নিবন্ধআধুনিক চট্টগ্রামের জন্য চাই নগর পরিকল্পনা ও তদারকি
পরবর্তী নিবন্ধমাছের চাষ ও কর্ম সংস্থান