অপসারণ হচ্ছে বাঁধ ও ভরাট করা অংশ

কর্ণফুলী নদী ও একটি খাল

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২ নভেম্বর, ২০২২ at ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী নদী ও পাশের একটি খালে পুনরায় তৈরি করা বাঁধ এবং ভরাট করা অংশ অপসারণের কাজ শুরু করেছে কর্ণফুলী কোল্ড স্টোরেজ। উচ্ছেদ-পরবর্তী এডি লাইনভুক্ত সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের চাপে বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু করা হয়। ইতোমধ্যে অপসারণের কাজ ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী দুদিনের মধ্যে নদীর কর্ণফুলী কোল্ড স্টোরেজ অংশ আগের অবস্থানে ফিরবে বলে জানিয়েছেন আগ্রাবাদ সার্কেলের এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী।
গত শুক্রবার থেকে বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক অবৈধ বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু করে। ইতোমধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী দুদিনের মাঝে বাঁধ সম্পূর্ণরূপে অপসারণ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
গত ১৯ অক্টোবর কর্ণফুলী কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃক কর্ণফুলী নদী ও পাশের একটি খালের অংশ ভরাটের অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করেন ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী। কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে। ওই সময় কর্মকর্তারা অবৈধভাবে নদী ও খালের অংশ ভরাটের কথা স্বীকার করে দ্রুত আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নেবেন বলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অঙ্গীকার করেন। না বুঝে নদী ও খালের কিছু অংশ ভরাট করা হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা ম্যাজিস্ট্রেটকে জানান।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নদী ভরাট বন্ধ ও তা উচ্ছেদ করার বিষয়টি জেলা প্রশাসক সরাসরি তদারকি করছেন। নদী দখল ও ভরাটকারী যে-ই হোক তা উচ্ছেদ করা হবে।
চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কর্ণফুলী কোল্ড স্টোরেজ ঘাটে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তৎকালীন জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন সীমানা নির্ধারণ করে সাইনবোর্ড স্থাপন করেন।
কিন্তু পরে সাইনবোর্ড থেকে আরো দুই শতাধিক মিটার নদীর অংশে স্থায়ী ঘাট নির্মাণ করে কর্ণফুলী কোল্ড স্টোরেজ। এছাড়া ভরাটে চাক্তাই খালের মোহনায় ফিশারিঘাট এলাকা থেকে নদী খনন করা পলিথিন মিশ্রিত মাটি ব্যবহার করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতারেক ও জোবাইদার বিরুদ্ধে আরও এক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পরবর্তী নিবন্ধপেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা