তারেক ও জোবাইদার বিরুদ্ধে আরও এক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

| বুধবার , ২ নভেম্বর, ২০২২ at ৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ

চার মামলায় সাজার রায় মাথায় নিয়ে ‘পালিয়ে থাকা’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। ঘোষিত আয়ের বাইরে সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান গতকাল এ আদেশ দেন। তাদের গ্রেপ্তার করা গেল কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি তারিখ রেখেছেন বিচারক। খবর বিডিনিউজের।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, তারা দুজনেই এ মামলায় পলাতক। তারা দেশের বাইরে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। সেখানে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। মামলায় তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জোবাইদা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। তারেকের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানু মারা যাওয়ায় পরে তাকে এ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
এ মামলার বৈধতা প্রশ্নে তিনটি রিট করেছিলেন আসামিরা, হাই কোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলও দিয়েছিল। দীর্ঘ বিরতির পর সেই রুলের ওপর শুনানি করে গত ২৬ জুন তা খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। সেই সাথে এ মামলার নথিপত্র ঢাকার মহানগর বিশেষ জজ আদালতে পাঠাতে এবং জজ আদালতে দ্রুত এ মামলার নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। ওই আদেশের ফলে দীর্ঘ ১৪ বছর পর মামলাটি বিচারের পথ খোলে। পাশাপাশি তারেক-জোবাইদাকে ‘পলাতক’ বিবেচনা করে তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী এ মামলা পরিচালনা করতে পারবে না বলে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চের রায়ে জানানো হয়।
এর আগে আপিল বিভাগ গত ১ জুন এ মামলায় জোবাইদা রহমানকে পলাতক ঘোষণা করে সিদ্ধান্ত দেয়, আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত জোবাইদার পক্ষে আদালতে কোনো আবেদন করা হলে তার উপর শুনানি করা ‘আইনসম্মত হবে না’।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর্ণফুলী উপজেলা ও ফটিকছড়ি পৌরসভা নির্বাচন আজ
পরবর্তী নিবন্ধঅপসারণ হচ্ছে বাঁধ ও ভরাট করা অংশ