অন্যের প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিতে হবে

অস্মিতা তালুকদার | রবিবার , ২৮ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:১১ পূর্বাহ্ণ

আমাদের দেশে নিয়মানুবর্তিতার বড্ড অভাব। লাইনে দাঁড়াতে আমাদের বড়ই অনীহা। ব্যাংকের লাইনে দাঁড়াতে তাড়া, সিঁড়িতে ওঠার সময় আগে যাওয়ার তাড়া, লিফটে উঠার জন্য তাড়া, গাড়ি চড়ে কোথাও আগে যাওয়ার জন্য তাড়া। সবাই এতোই তাড়াহুড়ো করতে থাকি আসলেই যে কার তাড়া আছে সেটা বোঝা দায় হয়ে যায়! ধাক্কাধাক্কি করাটা কেমন যেন দেশীয় ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে প্রতিটি মানুষের মনে এক পাকাপোক্ত ধারণা গেঁথে গেছে কোথাও আগে না যেতে পারলে মনে হয় জিনিস আদায় করা যায় না! যেমন ট্রাফিকে অন্য গাড়িকে পার করে আগে না যেতে পারলে হয়ত বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। তা নিয়মভঙ্গ করেই হোক আর যেভাবেই হোক। দেশের বাইরে গেলে আমাদের দেশের সাথে প্রথম যে পার্থক্য দেখা যাবে সেটা হল সেখানে সব কিছুতেই লাইন ধরতে হয়। তাই আপাতদৃষ্টিতে একটু সময় নিয়ে লাইন ধরলেও যার একান্ত প্রয়োজন আছে তার জন্য সিঁড়ি কিংবা ট্রাফিকে আলাদা জায়গা করে দেওয়া থাকে যেন এম্বুলেন্স কিংবা ব্যক্তিবিশেষ যার একান্তই প্রয়োজন আছে সে আলাদা করে বিনা লাইনেই তাড়াতাড়ি গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারে! জিনিসটা অনুকরণীয় এবং শিক্ষণীয়। শিশুকাল থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এসেম্বলি দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। সেখানে লাইন ধরে ক্লাসে যাওয়া আবার লাইন ধরে শিক্ষককে খাতা দেখানো এসব আমাদের নিয়মানুবর্তিতার শিক্ষা দেয়। কিন্তু এ শিক্ষা, প্রতিষ্ঠানের বাইরে আমরা এই নিয়ম মেনে চলতে ভুলে বসি। আজকে আপনি অন্যের প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দেবেন আরেকদিন আপনার প্রয়োজনে সেই একই সুবিধা নিজে ভোগ করবেন। আসুন ছোট্ট কিছু নিয়মানুবর্তিতার প্রচলন করি সময়মতো সুবিধা ভোগ করি!

পূর্ববর্তী নিবন্ধযাত্রী ভোগান্তি নিরসন হোক
পরবর্তী নিবন্ধইচ্ছাকৃত অপরাধের ক্ষমা নেই