অক্টোবরে এক্সপ্রেসওয়ে চালুর সম্ভাবনা নেই

বৃষ্টির কারণে কাজ ব্যাহত

হাসান আকবর | বুধবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৩ at ৪:১০ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে আগামী ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এই টানেল দিয়ে গাড়ি চলার কথা রয়েছে ২৯ অক্টোবর থেকে। একইসাথে টানেলের মুখ থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে গাড়ি চলবেএমন একটি আলোচনাও ছিল। পতেঙ্গা থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত যান চলাচল শুরু হচ্ছেএমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন অনেকে। তবে শেষ মুহূর্তে এসে সেই আশা পূরণ হচ্ছে না। অক্টোবরে এক্সপ্রেসওয়ে চালুর সম্ভাবনা নেই। তবে অল্পদিনের মধ্যে টাইগারপাস থেকে এক্সপ্রেসওয়ে চালু করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন হবে আগামী ২৮ অক্টোবর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে এসে টানেল উদ্বোধন করবেন। একইদিন শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছিল। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকেও এমন টার্গেট দিয়ে কাজ শেষ করতে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। অক্টোবরে পতেঙ্গার টানেলের মুখ থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শেষ করার টার্গেট নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল সিডিএ। তবে এখনো পর্যন্ত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টার্গেট থেকে দূরে রয়েছে। বিশেষ করে বিক্ষিপ্তভাবে হওয়া বৃষ্টির জন্য ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

পতেঙ্গা টানেলের প্রবেশমুখের সন্নিকট থেকে বারিক বিল্ডিংয়ের কাছ পর্যন্ত ফ্লাইওভারের সব কাজ শেষ হয়েছে। ওই অংশে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হলেও টাইগারপাস পর্যন্ত বিভিন্ন কাজ বাকি রয়েছে। তবে সমস্যা হচ্ছে, বৃষ্টির জন্য রাস্তায় পিচ ঢালাই দেওয়া যাচ্ছে না। সকালে বা রাতে সামান্য বৃষ্টি হলেই ঢালাইয়ের পরিকল্পনা বাতিল করতে হচ্ছে। এতে করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আংশিকভাবে এক্সপ্রেসওয়ে চালু করার যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল তা থেকে সরে আসতে হয়েছে।

বর্তমানে দেওয়ানহাট থেকে টাইগারপাস এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ করতে বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। টানেলের মুখ থেকে আসা এক্সপ্রেসওয়ে টাইগারপাস পার করে লালখান বাজার ম্যাজিস্ট্রেট কলোনির সামনে রাস্তায় নামানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে র‌্যাম্প তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে র‌্যাম্প দৃশ্যমান হবে। এয়ারপোর্ট থেকে আসা গাড়ি সরাসরি লাখখান বাজারে ম্যাজিস্ট্রেট কলোনির সামনে রাস্তায় নামতে পারবে। একইভাবে শহর থেকে এয়ারপোর্টমুখী গাড়িগুলোকেও সাময়িকভাবে ফ্লাইওভারে ওঠার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কিছুটা পরিবর্তন এনে ফ্লাইওভারে উভয়মুখী যান চলাচল শুরু করা হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অক্টোবরে না হলেও নভেম্বরের মধ্যে সাময়িক ব্যবস্থায় যান চলাচল শুরু করা হবে; যাতে টানেলের মুখ থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ফ্লাইওভার ব্যবহার করা যায়। পুরো ফ্লাইওভারের কাজ শেষ করে একে আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের সাথে যুক্ত করতে আরো কয়েক মাস সময় লাগবে বলে প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান গতকাল আজাদীকে জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। তবে বৃষ্টির জন্য কাজ ব্যাহত হয়েছে। না হয় নির্দিষ্ট টার্গেটে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু করতে পারতাম। সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করে কাজ করতে হচ্ছে। রাতেদিনে কাজ চলছে। পতেঙ্গা থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত পুরোপুরি প্রস্তুত। বাকি অংশের কাজ দ্রুত শেষ করব। তবে যান চলাচল শুরু করলেও সৌন্দর্যবর্ধনসহ নানা কাজ সম্পন্ন করতে আরো সময় লাগবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৫ অক্টোবর রোড মার্চের দিন এইচএসসি পরীক্ষা, যা বললেন সুজন
পরবর্তী নিবন্ধএকটি ব্যাগ, কাটা মাথা ও একজন আনারকলির কথা