কক্সবাজারে ছয় মাস ধরে দিনে–রাতে সরকারি পাহাড় কেটে নেয়ার ঘটনায় অবশেষে নিয়মিত মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার রাতে ৩ জনকে আসামি করে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. আবদুস সালাম কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
পরিদর্শক মো. আবদুস সালাম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কাটা হচ্ছিল। বুধবার (গতকাল) পর্যন্ত সেখানে এক লাখ ২০ হাজার ঘনফুট পাহাড় কাটার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বুধবার রাতে ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আসামিরা হলেন বান্দরবান মৌজার লালমোহনবাগান এলাকার (বর্তমান বাদশাঘোনা, কক্সবাজার পৌরসভা) চমশিম বমের মেয়ে মাঙাই বম প্রকাশ মেঘা, কক্সবাজার শহরের শীর্ষ পাহাড় কর্তনকারী মোহাজেরপাড়া এলাকার ফকির মোহাম্মদের পুত্র রবি আলম ও বাদশাঘোনা এলাকার লাল মোহাম্মদের পুত্র শাহজাহান। এছাড়া আরও ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান বলেন, পাহাড় কাটার ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পাওয়া একটি এজাহার এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। মামলাটি পরিবেশ অধিদপ্তর তদন্ত করবে।
পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপলের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, ছয় মাস ধরে পাহাড় কাটা চলতে থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তর অনেকটা নিরব ছিল। শুরুতেই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হলে পাহাড়টি রক্ষা পেত। আশা করি দক্ষতার সাথে মামলাটি তদন্ত করে পাহাড় কর্তনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে পরিবেশ অধিদপ্তর কাজ করবে।