হানিমুন থেকে ফিরেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কেন তাহসান

| শনিবার , ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫ at ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

বিয়ের পর নববধূ রোজা আহমেদকে নিয়ে গেল ৭ জানুয়ারি মালদ্বীপে হানিমুনের যান তাহসান খান। সেখান থেকে দেশে ফিরেই কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছুটে গেলেন তিনি। তাহসানের ফেসবুক পেজে চোখ রাখতেই জানা গেল, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছিলেন এই গায়কঅভিনেতা। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের একাধিক স্থিরচিত্র তাহসান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে এসব স্থিরচিত্র পোস্ট করে ক্যাপশনে তাহসান লেখেন, গতকাল আমি কক্সবাজারের একটি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেছি, যেখানে কয়েক সপ্তাহ আগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শত শত আশ্রয়শিবির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনাতীত। খবর বাংলানিউজের।

তাহসান লেখেন, জীবন বাঁচানোর কাজে নিয়োজিত অগ্নিনির্বাপণকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে উদ্ধারকাজের গল্প শুনে ভীষণ রকম অনুপ্রাণিত হয়েছি। মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে মানুষজন ধ্বংসস্তূপ থেকে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে, নতুন করে তাদের জীবনের পথচলা শুরু করেছে, এতে সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন মানবিক সংস্থা। শরণার্থীরা বারবার ভয়াবহ কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছে, তাদের ধৈর্য ও সহনশীলতা ইউএনএইচসিআরের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করে। গান ও অভিনয়ের বাইরে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) শুভেচ্ছাদূত হয়ে কাজ করছেন তাহসান খান। বাংলাদেশ থেকে সংস্থাটির প্রথম শুভেচ্ছাদূত হন এই তারকা। পৃথিবীজুড়ে ইউএনএইচসিআরের ৩২ জন শুভেচ্ছাদূত আছেন। যারা তাদের জনপ্রিয়তা, নিষ্ঠা ও কাজের মাধ্যমে সারা বিশ্বের শরণার্থীদের পরিস্থিতি ও ইউএনএইচসিআরের কাজ সবার সামনে তুলে ধরেন। ২০১৯ সাল থেকে তাহসান শরণার্থীদের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার বিভিন্ন উদ্যোগে ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে একত্রে কাজ করে চলেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন এবং বিশ্ব শরণার্থী দিবস ও ইউএনএইচসিআরের অন্যান্য অনুষ্ঠানের যুক্ত থেকে সহায়তা করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাইফের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের জালে সন্দেহভাজন
পরবর্তী নিবন্ধনতুন নেতৃত্বকে সহায়তা করতে লেবাননে ম্যাক্রাঁ