চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গত ১৪ এপ্রিল জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে বেলুন উড়িয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। এর পর ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ শ্লোগানে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নুরেআলম মিনা, জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা এ. কে.এম সরোয়ার কামাল। অনুষ্ঠানে চিত্রাংকনসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। শেষে অনুষ্ঠান মঞ্চে দলীয় সংগীত ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম জেলা শিশু একাডেমি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষার্থীরা।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় পহেলা বৈশাখের প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা। এ শোভাযাত্রা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো থেকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা পায়। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এখনো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। তারা বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য ও অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চায়। দেশের মানুষ ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র ভেদে ভিন্ন হলেও সকল বাঙালি বাংলা নববর্ষ অনুষ্ঠান এক এবং অভিন্ন সত্ত্বার আলোকে পালন করে। আমরা যদি দেশের স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে বিনাশ করতে না পারি, তাহলে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পথ রূদ্ধ হয়ে যাবে। তাই সকলের প্রচেষ্টায় অশুভ শক্তিকে মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো এটা হোক আজকের এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলের অংশগ্রহণে আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট দেশ বিনির্মাণ হবে–এটাই হোক পহেলা বৈশাখের অঙ্গীকার। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
