সিএমপি কমিশনার (অতিরিক্ত আইজিপি) কৃষ্ণপদ রায় বলেছেন, বাঙালির শাশ্বত ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রশাসন সদা তৎপর। বর্ষবরণ, বসন্ত উৎসব ইত্যাদি বাঙালির জাতীয় উৎসব। এতে ধর্ম–বর্ণ–নির্বিশেষে সকল মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। অনুষ্ঠানে ব্যাপক আয়োজনকে ম্লান করার জন্য কখনো কখনো অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। এর ফলে উৎসব আয়োজনের নিরিখে প্রশাসনকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। গত ১৪ এপ্রিল জেএমসেন হল প্রাঙ্গণে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত বাসন্তী পূজা উৎসব ও মিলনমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক দেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী অহর্ণিশ কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠা সহকারে পালনে সদা সচেষ্ট রয়েছি। বৈশাখী উৎসব, বসন্ত উৎসব সহ সকল জাতীয় অনুষ্ঠানে সকল জনগণের নিরাপত্তা বিধানে পুলিশ প্রশাসন বদ্ধ পরিকর। নিরাপদে উৎসব উদযাপনে পুলিশ প্রশাসন যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে। পূজা উদ্যাপন পরিষদ জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষের সভাপতিত্বে ও প্রবীর পালের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন অধ্যক্ষ শক্তিনাথানন্দ মহারাজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পূজা উদ্যাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত, সাংবাদিক নিরুপম দাশগুপ্ত, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি অসীম কুমার দেব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন। এ সময় সিএমপি ডিসি সাউথ মোস্তাফিজুর রহমান, ডিসি ট্রাফিক মোহাম্মদ হারুন, সহকারী পুলিশ কমিশনার অতনু চক্রবর্ত্তী সহ জেলা ও উপজেলা পূজা পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।