উৎপাদন বন্ধের শঙ্কা, বৃষ্টির ওপর নির্ভর করছে পরিস্থিতি

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র ।। সক্ষমতা ২৪২ মেগাওয়াট, উৎপাদন হচ্ছে ৩০ মেগাওয়াট

প্রান্ত রনি, রাঙামাটি | মঙ্গলবার , ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ at ১০:১০ পূর্বাহ্ণ

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই হ্রদের পানি কমতে থাকায় সর্বনিম্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। দেশের একমাত্র এই জল বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পাঁচটি ইউনিটে দৈনিক ২৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে উৎপাদন হচ্ছে কেবল ৩০ মেগাওয়াট। গতকাল সোমবারও বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩০ মেগাওয়াট। ক্রমাগত কাপ্তাই হ্রদের পানি কমতে থাকায় উৎপাদন বন্ধের আশঙ্কাও করছে কর্তৃপক্ষ। বৃষ্টিপাত ছাড়া হ্রদে পানি বাড়ার সম্ভাবনা না থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি ও সামনের পরিস্থিতি নির্ভর করছে বৃষ্টির ওপরই।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের আজাদীকে জানান, বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে। কাপ্তাই হ্রদের পানির যে অবস্থা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। আপাতত বৃষ্টিপাত ছাড়া হ্রদে পানি বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। যে কারণে বৃষ্টির ওপরই পরিস্থিতি নির্ভর করছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাপ্তাই হ্রদের পানি দেশের একমাত্র জল বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর কর্ণফুলী নদীতে নির্গমন করা হয়। আবার কর্ণফুলী নদীর পানি শোধনাগারে পরিশোধন করে চট্টগ্রাম নগরে পানি সরবরাহ করে থাকে ওয়াসা। কর্ণফুলী নদীর পানি বছরজুড়ে প্রবাহিত না হলে জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানি ঢুকে লবণাক্ততা বাড়ে ওয়াসার পরিশোধিত পানিতে। অনেকটা চট্টগ্রাম নগরে পানি সরবরাহের সঙ্গে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সংশ্লিষ্টতা থাকায় সারা বছরজুড়েই সচল রাখতে হয় বিদ্যুৎ উৎপাদন। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেলে চট্টগ্রামে শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থাতেও প্রভাব ফেলতে পারে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম) সূত্রে জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদের পানির পরিমাপের রুল কার্ভ (সময়সূচিভিত্তিক পানি ওঠানামার মাপ) অনুযায়ী গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে ৭৪ দশমিক ১৯ মিনস্‌ সি লেভেল (এমএসএল) পানি রয়েছে। যদিও স্বাভাবিকভাবে পানির থাকার কথা ৮২ দশমিক ৪০ এমএসএল। রুল কার্ভের হিসেবেই বর্তমানে ৮ এমএসএল পানি কম রয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত কিংবা বিকল্প উৎস থেকে (উজান) পানি না আসলে হ্রদে পানি বাড়ার কোনো সুযোগ নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১ মে বৃহত্তর চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে
পরবর্তী নিবন্ধচকরিয়ার দুই ইউনিয়নে রোহিঙ্গা ভোটারের তালিকা চায় হাই কোর্ট