জলাবদ্ধতা ও পাহাড় ধসের সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলা ও প্রাণহানি এড়াতে নানা প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এর মধ্যে সংস্থাটির পরিচালিত ৪৮টি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হয়। এসব আশ্রয়কেন্দ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের মধ্যে বিতরণের জন্য ৬ হাজার প্যাকেট খাবার মজুদ করা হয়েছে। এছাড়া ৭টি কুইক রেসপন্স টিম গঠন এবং তিনটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়। খোলা হয় কন্ট্রোল রুম। পাশাপশি চসিকের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটিসহ সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশসহ অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে নাগরিকদের সরে যেতে গতকাল দুপুর থেকে রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় চসিকের কর্মীরা মাইকিং শুরু করেছে।
জানা গেছে, গতকাল টাইগারপাস নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় করণীয় ঠিক করতে চসিকের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা, পাহাড়ধস থেকে জনগণের জানমাল রক্ষার্থে চসিকের প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম কুইক রেসপন্স টিম গঠনসহ বিভিন্ন দিক–নির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রশাসকের নির্দেশনা অনুসারে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডের জন্য ৭টি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়। দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা জনগণকে দ্রুত নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া এবং তাদেরকে ত্রাণ সামগ্রী, প্রয়োজনীয় খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়ে এই ৭টি টিম কাজ করবে। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স ও প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুদসহ ৩টি জরুরি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি চসিকের ৫৪টি হেলথ কমপ্লেঙ নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ জানান, খাবারের মধ্যে ৬ হাজার প্যাকেট খিচুড়ি, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন, জরুরি ওষুধ ও অ্যাম্বুলেন্সসহ পর্যাপ্ত যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোথাও কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সেখানে জরুরি কুইক রেসপন্স টিম উদ্ধার কাজ সহ যাবতীয় সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবে। আজিজ জানান, জনসাধারণের যানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দামপাড়াস্থ চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগে চালু করা হয়েছে জরুরি কন্ট্রোল রুম। দুর্যোগ না কাটা পর্যন্ত এ কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা জনগণের সেবায় কাজ করবে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০২৩৩৩৩৬৩০৭৩৯।