বর্ষার চতুর্থ দিনে ভারী বৃষ্টিতে গতকাল বুধবার নগরের বেশকিছু নিম্নাঞ্চলে জলজট হয়েছে। কয়েক জায়গায় হাঁটু সমান পানি জমে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। বিশেষ করে সকালে কর্মস্থল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানমুখী লোকজনের দুর্ভোগ ছিল বেশি।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গতকাল ভোরে একটানা বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সন্ধ্যায় একটানা প্রায় ১৫ মিনিট বৃষ্টি হয়েছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস গতকাল ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে। একই সময়ে আমবাগান আবহাওয়া অফিস রেকর্ড করে ৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। এছাড়া গত রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া অফিস ৭৭ মিলিমিটার এবং আমবাগান আবহাওয়া অফিস ১০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকালে নগরের জিইসি মোড়, শুলকবহর, কাতালগঞ্জ, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, কাপাসগোলা ও হালিশহরের এলাকায় এলাকায় জলজট সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় গোড়ালি থেকে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে। অবশ্য আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে পানি নেমে যায় বলেও জানান স্থানীয়রা।
সাধারণ লোকজন জানিয়েছেন, সকালে কর্মস্থলে যেতে হয় তাদের। তাই এসময়ে বৃষ্টি এবং জলজট হওয়ায় ভোগান্তি হয়েছে তাদের। শিহাব নামে আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় যাওয়া একটি বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা জানান, আজকে অনেক বেশি বৃষ্টি হয়েছে। আগ্রাবাদে পানি উঠেছে। এতে অফিসে যেতে কষ্ট হয়েছে। ইসকান্দর নামে এক কাতালগঞ্জ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, সকালেও পানি ছিল। সন্ধ্যায় ১০–১৫ মিনিটের বৃষ্টিতেও পানি উঠেছে।
আজও বৃষ্টি হতে পারে : পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. ইসমাইল ভূঁইয়া জানান, অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ও কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী অথবা অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও পাহাড় ধসের আশংকা রয়েছে ও নগরীতে অস্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে।
৩ নম্বর সর্তক সংকেত : গতকাল দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বজ্রমেঘ তৈরি হচ্ছে এবং বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিসহ দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ সতর্কবাতায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এতে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
