বান্দরবানে ঘূর্ণিঝড় রেমাল– এর প্রভাবে বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গুড়িগুড়ি ও থেমে থেমে বৃষ্টিতে পিচ্ছিল ও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে পাহাড়ের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো। এদিকে বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। রোববার বিকালের পর থেকে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসও হয় জেলায়।
প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শনিবার থেকেই জেলার সাতটি উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলার সাতটি উপজেলার চৌত্রিশটি ইউনিয়নে ২০৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এদিকে কখনো গুড়িগুড়ি, কখনো মুসলধারে বৃষ্টি হওয়ায় রুমা, থানচি, বান্দরবান–লামা–সূয়ালক, রোয়াংছড়ি–রুমা, থানচি–আলীকদমসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো কাদা মাটিতে পিচ্ছিল বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। পরিবহন শ্রমিক অমল দাস, কামাল উদ্দিন বলেন, দুদিনের বৃষ্টিতে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। রুমা ও থানচি সড়কে সংস্কার কাজ চলমান থাকায় বৃষ্টিতে সড়কটি পিচ্ছিল হয়ে বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো. সামসুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডেই ঝুঁকিপূর্ণ বস্তিগুলো ছেড়ে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রও।
বিষয়টি নিশ্চিত করো বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জেলায় দুদিন ধরেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশে ও ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে প্রশাসনের।