করোনা মহামারীর কারণে টানা প্রায় সাত মাস বন্ধ থাকার পর আগামী ২৮ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ-ভারত বিমান চলাচল শুরু হচ্ছে। বিশেষ ব্যবস্থায় দুই দেশের মধ্যে তিন মাসের জন্য সপ্তাহে ৫৬টি ফ্লাইট চলাচল করবে। তিন মাস পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ফ্লাইট চালুর ব্যাপারে যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়েছে। চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংকট নিরসনে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। শুরুতে ঢাকার সাথে কলকাতা, দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের ফ্লাইট চলাচল করবে। তবে চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট চালুর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, করোনার কারণে সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংকট দেখা দেয়। বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক মানুষ সংকটে পড়েন। এর মাঝে দুই দেশের মধ্যে ‘এয়ার বাবল’ ব্যবস্থায় চলাচলের বিষয়টি আলোচনায় আসে। উভয় দেশের সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের আলোচনার পর ফ্লাইট চলাচল শুরু হচ্ছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে ২৮টি ফ্লাইট ভারত যাবে। সমান সংখ্যক ফ্লাইট ভারত থেকে ঢাকায় আসবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স এবং নভো এয়ার ফ্লাইট পরিচালনা করবে। অন্যদিকে ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, ভিস্তারা এবং গোএয়ার নামে ৫টি এয়ারলাইন্স কোম্পানি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। ফলে সপ্তাহে ৫ হাজার বাংলাদেশি ভারতে যাওয়ার সুযোগ পাবে।
বিমান বাংলাদেশ ঢাকা-দিল্লি ও ঢাকা-কলকাতা, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা-চেন্নাই এবং নভোএয়ার ঢাকা-কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এছাড়া নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে যাওয়া প্রতি রোগীর সঙ্গে তিনজন করে অ্যাটেনডেন্ট ভারত যেতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, করোনার বিস্তার ঠেকাতে ১২ মার্চ থেকে দেশটিতে বিদেশিদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ভারত। সম্প্রতি ৯টি ক্যাটাগরিতে অনলাইনে বাংলাদেশিদের ভিসা আবেদন গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এগুলো হচ্ছে মেডিকেল, ব্যবসা, চাকরি, এন্ট্রি, সাংবাদিক, কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, জাতিসংঘ কর্মকর্তা ও জাতিসংঘ কূটনীতিক ক্যাটাগরি। পর্যটনের ভিসা কবে ইস্যু হবে সেই সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারেননি।
প্রত্যেক যাত্রীকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে হবে। তাই ফ্লাইটের ভেতরে আসন ব্যবস্থা আগের মতোই থাকবে। কেবল কেবিনের শেষ দুটো সারি ফাঁকা রাখা হবে। কোনো যাত্রী অসুস্থ হলে তাদেরকে ফাঁকা আসনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চট্টগ্রাম থেকেও ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।