নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে নির্বাচন হবে : তথ্যমন্ত্রী

| মঙ্গলবার , ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে নির্বাচন হবে। তিনি গতকাল সোমবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে নতুনভাবে প্রকাশিত দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। দৈনিক বাংলার প্রকাশক ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এসোসিয়েশন ও ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবীর হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসসের।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদের মন্তব্য ‘তফসিল ঘোষণা হলেই যে নির্বাচন হয়ে যাবে, এতো সহজ নয়’ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী বলেন, আসলে বিএনপি তো চায় দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভণ্ডুল করতে। ২০১৪ সালে তারা সে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিল, এবার সেই চেষ্টা করলে জনগণ কঠোর হস্তে দমন করবে। বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে, সেই মানুষগুলো বসে থাকবে না। আমরা আওয়ামী লীগও বসে থাকবো না। আর নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য দাঁড়াবে না উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের ট্রেন যেমন কারো জন্য দাঁড়ায়নি, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পাদানিতে বসে নির্বাচনের ট্রেনে চড়েছিলো। আমরা আশা করবো এবার নির্বাচনের ট্রেনে তারা ভালোভাবে বসবে। আর তারা না চড়লেও নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, উনাদের কোন নেতা কি বললো এতে কিচ্ছু আসে যায় না। নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করলো কি না সেটিই মুখ্য। যদি জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলেই সেটি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। তাদের বর্জন সত্ত্বেও যেভাবে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে, আগামী নির্বাচনও যদি তারা বর্জন করে জনগণ ব্যাপকভাবেই অংশগ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ। তবে আশা করবো তারা অংশগ্রহণ করবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করবে’ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন যে রোহিঙ্গারা এসেছিলো তাদেরকেই তো তারা পরিপূর্ণভাবে ফেরত পাঠাতে পারেনি। ১৯৭৬৭৭ সালে রোহিঙ্গারা এসেছিলো সেই রোহিঙ্গারা এখনো আছে, ওরা এখন বাংলাদেশি হয়ে গেছে। ১৯৯১৯২ সালে আবার রোহিঙ্গারা এসেছিলো যখন বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী। সেই রোহিঙ্গাদের বহুজন চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এখন তারা রোহিঙ্গা ফেরত পাঠাতে সেমিনার করে বেড়াচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে তারা চায় না যে, রোহিঙ্গা সমস্যার কোনো সমাধান হোক। কারণ বিএনপির সাথে যে জঙ্গিগোষ্ঠী আছে তাদের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো রিক্রুট করার উর্বরক্ষেত্র হয়েছে, এ জন্য উনারা প্রকৃতপক্ষে চায় না এ সমস্যার সমাধান হোক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসরকার স্বাধীনতার অর্জন ধ্বংস করে ফেলেছে : ফখরুল
পরবর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিএনপির রূপরেখা হাস্যকর : কাদের