সমপ্রতি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আরেকজন রোগীর মস্তিষ্কে ব্রেইন চিপ বসানোর অনুমোদন পেয়েছে নিউরালিংক। নোল্যান্ড আরবাগ ব্রেইন ইমপ্লান্ট গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি হওয়ার কয়েক মাস পরেই কোম্পানিটিকে দ্বিতীয় দফায় দ্বিতীয় পদ্ধতিতে এগিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। গত সপ্তাহে ইলন মাস্ক বলেছেন, ট্রায়ালে দ্বিতীয় অংশগ্রহণকারীর জন্য আবেদন গ্রহণ করছে’ কোম্পানিটি। খবর বিডিনিউজের।
এলএস বা অ্যামায়োট্রাফিক ল্যাটেরাল স্ক্েলরেসিস, স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি বা যেসব পক্ষাঘাতের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি মাংসপেশী নাড়াতে পারেন না, তাদের কাছে প্রযুক্তিটি আনার লক্ষ্যে গত বছর নিউরালিংক তাদের প্রথম ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য সম্ভাব্য অংশগ্রহণকারীদের নাম ঘোষণা করতে শুরু করে। এ ধরনের প্রথম অস্ত্রোপচারের প্রায় এক মাস পরে আরবাঘের ইমপ্লান্টে ত্রুটি দেখা দিয়েছিল।
নিউরালিংক সেই সমস্যারও সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে এসেছে। এ মাসের শুরুতে কোম্পানিটি বলেছে, মস্তিষ্কের সঙ্গে ইমপ্লান্টের কিছু সংযোগে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আরবাগ সমপ্রতি ব্লুমবার্গকে বলেছেন, বিভিন্ন সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে সেই সমস্যার অনেকগুলোতেই সমাধান দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
কোম্পানিটি আরবাঘের একটি ক্লিপ শেয়ার করেছে। যেখানে দেখা যায়, ঘাড় অবশ অবস্থায় আরবাঘ দাবা খেলছেন, একটি মিউজিক প্লেয়ার অ্যাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অন্যান্য কাজও করছেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কে নিউরালিংক বলেছে, তারা দ্বিতীয় সার্জারিতে রোগীর মস্তিষ্কের গভীরে চিপ স্থাপন করবে যাতে আরবাঘের ক্ষেত্রে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল সেটি এবার এড়ানো যায়।
এফডিএ–এর দৃশ্যত এসব পরিবর্তন বোর্ডে উল্লেখ রয়েছে। নিউরালিংক জুন মাসে দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করতে চায় বলে জানা গেছে। পাশাপাশি এক হাজারেরও বেশি লোক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের জন্য এরইমধ্যে সাইন আপ করেছেন।