পর্দায় তিনি কখনো দাপুটে নায়িকা, কখনো বা মা, বড় ভাবী, সংসারের বড় বৌ, বাদশাহ মহলের নির্বাসিত বেগম চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়েছেন। ‘এই ঘর এই সংসার’ সিনেমাতে সালমান শাহ ও আলীরাজের বড় বোনের চরিত্রটি তো আজও দর্শকের মনে জীবন্ত। বলছি ঢাকাই সিনেমার মিষ্টি হাসির অভিনেত্রী রোজী আফসারীর কথা। প্রখ্যাত অভিনেত্রী জন্মদিন মঙ্গলবার। খবর বাংলানিউজের।
১৯৪৬ সালের আজকের এই দিনে লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। চলচ্চিত্রে তিনি রোজী সামাদ বা রোজী আফসারী দুটি নামেই পরিচিত। তবে তার পারিবারিক নাম ছিল শামীমা আক্তার রোজী। ১৯৬২ সালে আব্দুল জব্বার খান পরিচালিত ‘জোয়ার এলো’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে রুপালি পর্দায় নাম লেখান রোজী আফসারী।
প্রায় সাড়ে তিনশ’র মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য সুপারহিট চলচ্চিত্র। ১৯৭৫ সালে ‘লাঠিয়াল’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব–অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন রোজী আফসারী। তার অনান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের তালিকায় রয়েছে-‘ওরা ১১ জন’, ‘আলোর মিছিল’, ‘লাঠিয়াল’, ‘এতটুকু আশা’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘অশিক্ষিত’, ‘প্রতিকার’ ইত্যাদি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের প্রথম নারী পরিচালক তিনি। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আশা নিরাশা’। রোজী আফসারীর প্রথম স্বামী ছিলেন প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক এম. আব্দুস সামাদ। ওই সংসারে রোজীর এক কন্যা সন্তান রয়েছেন, নাম কবিতা। তার দ্বিতীয় স্বামী গুণী নির্মাতা মালেক আফসারী। তাদের ঘরে এক পুত্র সন্তান জুবায়ের। কিডনি রোগে ভুগে ২০০৭ সালের ৯ মার্চ অজস্র ভক্তকে কাঁদিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় ‘এই ঘর এই সংসার’খ্যাত তারকা।