চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন এই ডিসেম্বরের শেষের দিকে অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। আর তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে আগামী জানুয়ারির শুরুতে ভোটের তারিখ দেওয়া হবে বলে আজ বুধবার (২ ডিসেম্বর) জানান ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর। বিডিনিউজ
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল গত ২৯ মার্চ। করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় এর এক সপ্তাহ আগে স্থগিত করা হয় নির্বাচনটি।
ভোট করতে না পারায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে গত আগস্টের শুরুতে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।
আজ বুধবার ইসি সচিব সাংবাদিককের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “নির্বাচন কমিশন এ নিয়ে একটু আলোচনা করেছে। নির্বাচনটি যথাসময়ে হবে কিন্তু কোনো তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। ডিসেম্বরের শেষ দিকে সম্ভাবনা রয়েছে। তা না হলে জানুয়ারির প্রথম দিকে হবে। নির্দিষ্ট তারিখ বলতে পারব যখন কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।”
স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। এছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ৫৫ পদে রয়েছেন ২৬৯ প্রার্থী।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রশাসক বসানো হলেও সুবিধাজনক সময়ে মন্ত্রণালয় অনুরোধ করলে নির্বাচন কমিশন ভোটের তারিখ নির্ধারণ করবে। সেক্ষেত্রে বর্তমান প্রার্থীরাই বহাল থাকবেন এবং যেখানে ভোট স্থগিত হয়েছিল সেই অবস্থা থেকে নির্বাচন হবে।
তবে মৃত্যজনিত যেসব পদ এর মধ্যে শূন্য হবে সেই বিষয়ে কমিশন তখন সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।
জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেন, “কমিশনে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে কিন্তু সিডিউল তো ঘোষণা করা হয়েছিল, স্থগিত রয়েছে। এখন স্থগিতাদেশটা প্রত্যাহার করে পরবর্তীতে ভোটের শুধু তারিখটা দেওয়া হবে। ওখানে আর কিছু নেই। ডিসেম্বরে ভোট হতে পারে।”